আগৈলঝাড়ায় সরকারি খাল দখল করে পাকা ভবন নির্মানের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ৪ মে,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১১:১৬ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সরকারী খাল দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রশাসন এ কার্যক্রম বন্ধে একাধিকবার পদক্ষেপ নিলেও দুর্গম অঞ্চলে দখলের কর্মযজ্ঞ চলে আসছে।
আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে হাজার হাজার কৃষক পরিবারকে সেচ সংকটের মুখে ফেলে নিজেদের স্বার্থের জন্য সরকারী খাল দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রভাশালীরা। দখলের এই উৎসব চলছে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের তালের বাজার খালের একপাশ দখল করে ভদ্রপাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল সরদারের ছেলে ব্যবসায়ী সিরাজ সরদার ভবন নির্মাণের জন্য কাজ করেছেন। একই খালের আরেক চাপাচুপা গ্রামের মৃত কুসাই বিশ্বাসের ছেলে ব্যবসায়ী জগদীশ বিশ্বাস খালের পাশে পাকা স্থাপনা নির্মান করছেন।
এই দখলের কারণে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তালের বাজার, রামের বাজার, ভদ্রপাড়া, কালুরপাড় এলাকার কয়েকশ একর জমিতে ধানের চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। খাল দখলকারী জগদীশ বিশ্বাস বলেন, এটা তো বাড়ি বানাচ্ছি না। দোকানঘর তোলার জন্য কাজ শুরু করেছি। এতে আর সমস্যা কি ? সবাই তো করে।
সিরাজ ও জগদীশ খাল দখল করে গত কয়েকদিন যাবত দোকান ঘর নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছেন। খাল দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করায় ইরি-বোরো মৌসুমে বিভিন্ন খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ওই এলাকার কৃষকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। নির্মাণকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের তালের বাজার রামের বাজার খালে কয়েকদিন ধরে সরকারী খাল দখল করে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। খাল দখল করে পাকা দোকান ঘর নির্মাণের ফলে খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হওয়ায় চলতি বোরো মৌসুমের পানি সেচের জন্য বিপাকে পরেছে ওই এলাকার কৃষকরা।
পাকা ভবন নির্মাণকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না। খাল দখলের বিষয়ে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা সরদার বলেন, যারা পূর্বে সরকারী খাল দখল করে দোকান ঘর নির্মান করেছে তাদেরকে ভিন্ন জায়গায় স্থাপনা নিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া নতুন করে কেউ যাতে সরকারী জায়গা দখল করতে না পারে সেজন্য আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে যোগাযোগ করছি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আবুল হাশেম বলেন, খাল দখলমুক্ত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।