বোচাগঞ্জ হাসাপাতালে এক্স-রে মেশিন নষ্ট এক যুগ, বন্ধ অপারেশন থিয়েটার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ৩ মে,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৪৭ এএম, ৫ অক্টোবর,শনিবার,২০২৪
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার মানুষের একমাত্র চিকিৎসা সেবা হাসাপাতাল বোচাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এই উপজেলায় প্রায় দুই লাখ মানুষের বসবাস। ৫০ শয্যা এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ প্যাথলজি বিভাগ চালু থাকলেও প্রায় ১২ বছর ধরে এক্স-রে মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।
রোগীদের এক্স-রে করার জন্য বাইরে ডায়গনিষ্টিক সেন্টারে যেতে হয়। সঙ্গে আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনও নষ্ট। চিকিৎসকগণ থেকে রোগীরা সেবা পেলেও কাঙ্খিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
দিনাজপুরের ১৩ টি উপজেলার মধ্যে অন্যতম একটি উপজেলা বোচাগঞ্জ উপজেলা। এই উপজেলায় রয়েছে ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান সেতাবগঞ্জ চিনিকল। এছাড়া হাসকিং মিল সহ অসংখ্য অটো রাইস মিল গড়ে উঠেছে।
ছয় ইউনিয়ন ও এক পৌরসভা নিয়ে বোচাগঞ্জ উপজেলা গঠিত। ২২৪.৮১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলা জেলা শহর থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি দুইটি এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও একটি এ্যাম্বুলেন্স বিকল হয়ে পড়ে আছে। একটি এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে জরুরি রোগীদের সেবা দেওয়া হয়।
এতে করে জরুরি রোগীদের এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে চরম দূভোর্গে পড়তে হয়। সার্জারি বিশেষজ্ঞ, গাইনি বিশেষজ্ঞ ও আ্যানেস্থেটিস্ট না থাকায় অপারেশন কক্ষও বন্ধ রয়েছে।
বর্তমান হাসপাতালের সেবা নিয়েও রোগীরা বেশ অসন্তুষ্ট। ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ০৯ জন চিকিৎসক ও ১ জন ডেন্টাল সার্জন এবং ২৩ জন সেবিকা নিয়ে রোগীদের নিয়মিত সেবা দিচ্ছে। বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় কমবেশি ২৫০ থেকে ৩০০ জন রোগী সেবা নিতে আসে।
প্রতিদিন জরুরি বিভাগে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন রোগী সেবা নিচ্ছে। উপজেলার ছয় ইউনিয়নে ২২ টি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৫টি রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র থেকে জানা যায়, এক্স-রে মেশিনটি ২০০৩ সালে স্থাপন করা হয়েছিল।
শুরুতেই ৬ বছরের মত চললেও প্রায় ১২ বছর ধরে সেখানকার এক্স-রে মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে আছে। নেই রেডিওলজিও (এক্স-রে টেকনিশিয়ান)। আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনও নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।
বোচাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুল বাসার মো. সায়েদুজ্জামান বলেন, হাসপাতের এক্স-রে মেশিন, আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন নষ্ট হওয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত সমাধান হবে। আর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদায়ন হলে সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।