কুষ্টিয়াতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ ও মোনাজাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৩ পিএম, ২০ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০১:১২ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
চৈত্রের তাপদাহ শেষে বৈশাখের আগমন। মানুষের মনে একটু আশা বৈশাখে ঝড়বৃষ্টি হবে মাটঘাট খালবিল পানিতে ভরে উঠবে। প্রকৃতি সাজবে নতুন সাজে। আজ বৈশাখের ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও কুষ্টিয়ার আকাশে নেই মেঘ নেই বৃষ্টি।
বৈশাখেও চৈত্রের কঠোর তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। বৃষ্টির অভাবে পানির লেয়ার নিচে নেমেগিয়ে জেলা জুড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট। পানির অভাবে সেচ কাজ ব্যহত হচ্ছে। এবার অনেক ফসলের উৎপাদন লক্ষমাত্রা পুরনে বাধা সৃষ্টি হতে পারে পানির অভাব।
গতকাল সোমবার (১৯ এপ্রিল) একটুু বৃষ্টির জন্য মহান আল্লাহর দরবারে কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার চর জগ্ননাথপুর গ্রামের ফসলি মাঠে কয়েক'শত মানুষ একত্রিত হয়ে বিশেষ নামাজ (ইসতিসকা) আদায় করে অব্যাহত অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মোনাত করেন।
বিশেষ এ নামাজে কয়েক গ্রামের কয়েক'শত কৃষক ও সাধারন মানুষ অংশগ্রহণ করেন। নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন চর জগ্ননাথপুর গ্রাম জামে মসজিদের ইমাম আলহাজ্ব মওলানা ইদ্রিস আলী।
এ বিষয়ে কথা হলে আলহাজ্ব মওলানা ইদ্রিস আলী জানান, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়াতে মানুষ পানির জন্য খুব বিপদে আছে। তাপদাহে দেশের মানুষ সমস্যা ও দুঃখ কষ্ট হতে থাকলে বৃষ্টি বা পানির জন্য আল্লাহ তার কাছে সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নাত। আর চাওয়াকে আরবিতে 'ইসতিসকা' বলা হয় অর্থাৎ পানির জন্য দোয়া করা।
তিনি একটি হাদিসের আলোকে বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বৃষ্টির দোয়ার সময় বলতেন, 'হে আল্লাহ, তুমি তোমার বন্দাকে এবং তোমার পশুদের পানি দান করো আর তাদের প্রতি তোমার রহমত বর্ষণ করো এবং তোমার মৃত জমিনকে জীবিত করো।,
আমরাও আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেছি পানির জন্য। নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের উপর দয়া করবেন।