নীলফামারীতে কথিত কীটনাশক ব্যবসায়ীর ভূলে পুড়ে গেল ধান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫০ পিএম, ১৮ এপ্রিল,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:১২ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
নীলফামারীতে কীটনাশক বিক্রেতার ভূল চিকিৎসায় পুড়ে গেল ধান ক্ষেত। ধান ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমন দেখা দিলে গ্রাম্য কীটনাশক ব্যবসায়ীর পরামর্শে ঔষধ কিনে দুই বিঘা জমিতে স্প্রে করে কপাল পোড়ালেন বর্গাচাষী রেজাউল রহমান স্বপন। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নের বাবুরডাঙ্গা গ্রামে।
এবিষয়ে রেজাউল রহমান স্বপন বলেন, গত শনিবার বাবুরডাঙ্গার আবুল হাসেমের(হাস্যা) সার, বীজ ও কীটনাশকের দোকানে গিয়ে জমিতে মাজরা পোকার আক্রমন দেখা দেয়ার বিষয়টি জানালে হাসেম আমাকে এরোক্সন ২০এসএল ঔষধটি জমিতে স্প্রে করতে বলে। তার কথা মতো তার দোকান থেকে ঔষধ কিনে ড্রামে মিশিয়ে জমিতে স্প্রে করি। দুইদিন পর দেখি সবুজ রঙ্গের পাতাগুলো পুড়ে গেছে।
পরে অন্য একজনের মাধ্যমে জানতে পারি মাজরা পোকা দমনের ঔষধ না দিয়ে ঘাস মারার ঔষধ দিয়েছে দোকানদার। সুদের উপর এনজির কাছে লোন নিয়ে পাচঁ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। বিষয়টি হরিনচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামকে জানালে তিনি মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখে উক্ত কীটনাশক ব্যবসায়ীর ছত্রিশ মণ ধান জরিমানা করেন।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, এসব অশিক্ষিত সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীরা কিভাবে যে দোকান খুলে বসেছে, নেই তাদের প্রশিক্ষন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, চিকিৎসা দেবার নামে অপচিকিৎসা করছে এরা। কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের(বিএস) ফোন করে চিকিৎসা বা পরামর্শ চাইলে তারা ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে আর আসেননা।
আবুল হাসেমের(হাস্যা) সার, বীজ ও কীটনাশকের দোকানে গিয়ে দেখা গেলো দোকানের একটি অংশে মালামাল ও আর একটি অংশে সার, বীজ ও কীটনাশক। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন।
এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শনিবার মুঠোফোনে জানান, ক্ষেত পুড়ে যাওয়ার বিষয়টি জেনেছি এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। ওই সার, বীজ ও কীটনাশকের দোকানটি বন্ধ করে দিয়েছি।