কুষ্টিয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতায় বালি চাপা পড়ছে ৪৬ টা বাড়ি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২১ পিএম, ১৭ এপ্রিল,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৩৪ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক গৃহীত গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের (জি-কে প্রজেক্ট) উদাসীনতায় ৪৬ টি বাড়ি বালি চাপা সহ শতাধিক পরিবার এলাকা ছাড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাপড়া ইউনিয়নের বহলা গোবিন্দপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী কুদ্দুস ডাঃ ও মোবারক জানান ১ সপ্তাহ ধরে ড্রেজার দিয়ে বালি ভরাট শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তারা বালি ভরাটের শুরুতে জানায় তাদের অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তির উপর দিয়ে জিকের খাল খননের সময় খালের পাড় তৈরী করতে মাটি কাটার কারনে নদীর তীরবর্তী যেসমস্ত জলাশয় রয়েছে সেগুলো ভরাট করবে। কিন্তু পরবর্তিতে দেখা যায় বালি দিয়ে প্রায় ৪৬ টি ঘরের চাল পর্যন্ত ভরাট করে বসবাসের অনুপযোগী করে দেয়।
রাতের আঁধারে কাজ করার সময় এভাবে বালি দেয়ায় অনেকেই আতংকিত হয়ে যাদের কাঁচা বাড়ি এমন প্রায় শতাধিক পরিবার বাড়িঘর ফেলে রেখে চলে গেছে। নিষেধ করলেও তারা কোন বাধা মানে নাই।
এ বিষয়ে চাপড়া ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন রিন্টু জানান, জিকের খাল খননের সময় পাড় বাঁধার জন্য নদীর তীরবর্তী মাটি কাটায় জলাশয় সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে জলাশয় থেকে পানি ছোপ করার কারনে নদীর পাড় ভেঙে যায়। যেকারণে ড্রেজার দিয়ে জলাশয় ভরাট করার কথা। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে তারা বহু মানুষের বাসস্থান ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তি ছাড়াও জানগনের ক্রয়কৃত সম্পত্তির উপরও তারা বালু ফেলেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং শাখা) আজমীর হোসেন জানান, নদীর তীরবর্তী অধিগ্রহণকৃত জমির উপর জলাশয় ভরাট করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু তারা কিভাবে ঘরের চাল সমান বালি ভরাট করেছে এটা আমার জানা নেই। আমি স্বীকার করছি এটা অন্যায় হয়েছে। যে কর্মকর্তা দায়িত্বে ছিলো অফিস খোলার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।