কুমিল্লা দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন সেবা খাতে দারিদ্র বিমোচন বাস্তবায়ন ঝুঁকিতে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ১২ এপ্রিল,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৪১ পিএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিগত এক বছরের সময় ধরে মহামারী করোনায় কুমিল্লা দক্ষিনাঞ্চলের সকল উপজেলা গুলোর দারিদ্র বিমোচনে ও বেকার যুবকদের কল্যানে বিভিন্ন সেবাখাতে সরকারী-বেসরকারী উদ্যেগ বাস্তবায়ন নানান ঝুঁকিতে পড়েছে এবং প্রয়োজনীয় শিল্পায়নের অভাবে হাজার হাজার যুবক বর্তমানে কর্মহীন জীবন-যাপন করছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, চলমান মহামারী করোনায় এ অঞ্চলের বেকার সমস্যা, খাদ্য নিরাপত্তা ও অপুষ্টির বিষয়টি একটি জটিল সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে।
গরীব মানুষদের দারিদ্রের হাত থেকে মুক্ত করতে প্রধান হাতিয়ার কর্মসংস্থান। কিন্তু দেশে সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়লেও এ অঞ্চলে তার লক্ষ্য অনেকটা মন্থরগতি।
বর্তমান সরকারের এক যুগেরও বেশি শাসন আমলে দেশ অনেকটা এগিয়ে গেলেও বিশেষ করে মানব সম্পদ উন্নয়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি নিরাপদ পানি-পয়ঃনিস্কাশন, জ্বালানী, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নারী-পুরুষের সমতা আনয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, স্থানীয় সরকার কাঠামো উন্নয়ন, পরিবেশের ভারসাম্যতা, তথ্য ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন সেক্টরে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের অনিয়ম, দায়িত্বহীনতার কারনে সেবা পাচ্ছে না এ অঞ্চলের মানুষ।
সূত্রগুলো আরও জানায়, বর্তমানে জেলার দক্ষিনাঞ্চলের ৫টি উপজেলায় মহামারী করোনার কারনে ব্যবসা-বানিজ্যে স্থবিরতা বিরাজ করছে। স্থানীয় ভাবে এখানে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়ায় বেকারত্বের পাশাপাশি দারিদ্রতাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সরকারী-বেসরকারী বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বানিজ্য সম্প্রসারনে মুক্ত বাজার অর্থনীতি, বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ, দক্ষ জনবল ও বানিজ্যিক সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এ অঞ্চলে। সারা দেশের ন্যায় পরিকল্পিত শিল্পায়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন গড়ে তুলতে এ অঞ্চলে সরকারী কিংবা বেসরকারী উদ্যোক্তাদের বড় অভাব।
স্থানীয় একাধিক সমবায়ী জানায়, দারিদ্র বিমোচন ও বেকার যুবকদের কল্যানে কেউ কেউ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কথা বললেও এ প্রধান হাতিয়ার তথ্য প্রযুক্তি খাতের বর্তমান সূচক চরম হতাশা জনক।
এ খাতে দক্ষিণ এশিয়ার গড় মান ৪.২৮ আর ১.০১ পয়েন্ট নিয়ে ২৬ নাম্বারে রয়েছে বাংলাদেশ। অথচ চীন দারিদ্র বিমোচনে বেকার যুবকদের কল্যানে এত কাজ করেও তথ্য প্রযুক্তি সূচকে তারা অবস্থান করছে ৯.৬ সূচকে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একাধিক সূত্র জানায়, জেলা দক্ষিনাঞ্চলের উপজেলাগুলোতে কৃষি ও মৎস্য ভিত্তিক বিনিয়োগের চাহিদা ও ভৌগলিক অবস্থানের কারনে অল্প খরচে স্বল্প সময়ে ব্যাপক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সম্ভব।
ভারতীয় উপমহাদেশের একমাত্র নারী নবাব নওয়াব ফয়জুন্নেছার জন্মস্থানখ্যাত বৃহত্তর লাকসাম শতাব্দিকাল থেকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
দেশে প্রায় ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ৮ কোটি মানুষ নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও ২ কোটি মানুষ হতদরিদ্র এবং বাকী ৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১ লাখ ৬৫ হাজার লোক ধনী ব্যাক্তি বাকী ৪ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ মধ্যবিত্ত সূচকে অবস্থান করছে। যে দেশে ৬০ ভাগ লোক দারিদ্র সেখানে বেকার থাকা স্বাভাবিক।
এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনসহ একাধিক শিল্প উদ্যোক্তাদের মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাদের কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।