ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলামের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫০ এএম, ৫ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ০২:৪৮ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
রংপুরের হারাগাছে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলামের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। একইসঙ্গে এ ঘটনায় সাহায্যকারী হিসেবে অভিযুক্ত দুই নারীর প্রত্যেকের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বুধবার (৪ নভেম্বর) রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা রানী এ আদেশ দেন।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১০টায় রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে আনা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসামিদের কড়া পুলিশি পাহারায় আদালতে তোলা হয়। মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম আদালতে সরকার পক্ষে রিমান্ড শুনানিতে অংশ নেন।
তিনি বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। অন্যদিকে, আসামি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলামের রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে তার আইনজীবী বলেন, মিথ্যা অভিযোগে তাকে আসামি করা হয়েছে। তিনি রায়হানুরের জামিন চান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক পুলিশ কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলামের জামিন আবেদন বাতিল করে তার ৫ দিনের রিমান্ড ও দুই নারী আসামির ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পিবিআই রংপুরের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আমরা মামলাটি তদন্তের স্বার্থে ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলামকে ৭ দিন ও দুই নারীকে তিনদিন করে রিমান্ডের আবেদন করেছিলাম। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে ইতোপূর্বে আবেদন করেছিলেন। বুধবার রিমান্ডের শুনানি শেষে বিচারক তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আমরা আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে সমস্ত বিষয় জানার চেষ্টা করবো।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে মামলার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। আসামিদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে আসামি বাবুল ও আবুল কালাম আজাদ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ভিকটিম নিজেও নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে।
অন্যদিকে ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলামের আইনজীবী সোলায়মান ছিদ্দিকী বাবু জানান তার আসামিকে অন্যায়ভাবে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। মামলার এজাহারের সঙ্গে ঘটনার কোনও মিল নেই।
উল্লেখ্য, রংপুর মহানগরীর হারাগাছ থানা এলাকার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় গোপন করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। এরপর তাকে কৌশলে হারাগাছ ক্যাদারের পুল এলাকার একটি বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে এই পুলিশ কর্মকর্তা ও তার বন্ধুদের দ্বারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় এই কিশোরী।