ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা লাঞ্ছিত করায় সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে হেফাজতের হামলা, ভাংচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৪ এএম, ৪ এপ্রিল,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:২৩ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ন-মহাসচিব মামুনুল হককে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার খবরে হেফাজতের কয়েকশত লোকজন মাগরিবের নামাজের পর রয়েল রিসোর্টে হামলা চালিয়েছে। এসময় তারা ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে মামুনুল হক ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে গেছে। এসময় কয়েকশত হেফাজত কর্মী স্লোগান দিয়ে সোনারগাঁও থানা ঘেরাও করতে চাইলে মামুনুল হক একটি হ্যান্ড মাইকে তাদের শান্ত হতে বলেন। এবং আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বারন করেন। তিনি বলেন, আমি প্রমান করবো আমার সাথে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। তাছাড়া স্ত্রীকে নিয়ে আমি যেখানে সেখানে ঘুরতে যেতে পারি। কিন্তু ছাত্রলীগ-যুবলীগের উচ্ছৃংখল লোকজন আমাকের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেছে। আমি আইনগতভাবেই বিষয়টি দেখবো।
এদিকে হেফাজতের লোকজনের আসার খবরে পাালিয়ে গেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন সোনারগাঁও উপজেলা ইউএনও আতিকুল ইসলাম, এসিল্যান্ড মোস্তফা মুন্নাসহ প্রশাসনের লোকজন।
জানা গেছে, আজ শনিবার দুপুরের পর হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হক তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে রয়েল রিসোর্ট এর ৫০১ নাম্বার রুমে উঠেন।
খবর পেয়ে স্থানীয় ছ্ত্রালীগ ও যুবলীগের কিছু নেতাকর্মী ওই রুমে জোরপুর্বক ঢুকে মামুনুল হককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তারা মামুনুলহককে অশ্লীলভাষায় গালমন্দ করেন। তার স্ত্রীকে নিয়েও কুরুচিপুর্ন মন্তব্য করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
এদিকে মামুনুল হক দাবী করেছেন তার সাথের নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। বার বার তিনি কথাটি বললেও বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা তার কথায় পাত্তা না দিয়ে বিয়ের কাবিন দেখতে চান। মামুনুল হক বলেন, তিনি ইসলামী শরীয়া মতে দুই বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন।