রংপুরে পরকীয়ায় প্রাণ গেল নাসরিনের, তিনদিন পর লাশ পেল পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৪ পিএম, ৩ এপ্রিল,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৩৩ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
রংপুর নগরীতে পরকীয়ার বলি হয়েছেন নাসরিন নামের এক সন্তানের জননী। নিহতের তিন দিন পর গত শুক্রবার রাত ৮টায় তার লাশ শনাক্ত করেছে পরিবার।
নিহত নাসরিনের ভাই বিপ্লব, চাচি নাহিদা ও বোন জামাই ইব্রাহিম আজম জানান, ৬ বছর আগে রংপুর মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরদিঘর বনগ্রাম এলাকার নজরুল ইসলামের কন্যা নাসরিন আক্তারের সাথে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বকশী এলাকার দুলাল মিয়ার পূত্র রবিউল ইসলামের। তাদের ২ বছর বযসী একটি পূত্র সন্তান আছে। এরই মধ্যে নাসরিন দোলাপাড়া গ্রামের মাফু মিয়ার পূত্র আজিজুল ইসলাম হাতকাটার সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। গত ৫ মাস আগে নাররিন আজিজুলের সাথে পালিয়ে যায়। অনেক খোঁজা খুঁজির পরও তাকে পরিবারের লোকজন পায়নি।
আরপিএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি এ্যান্ড মিডিয়া) উত্তম কুমার পাঠক জানান, গত ৩১ মার্চ বুধবার রাত ১১টায় একটি অটোতে করে নাসরনিকে পয়জনিং রোগী হিসাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় নাসরিন মারা গেলে তার লাশ অজ্ঞাত নামা হিসাবে মরচুয়ারিতে রাখা হয়। শুক্রবার রাত ৮টায় পুলিশ তার স্বজনদের খুঁজে পেলে নিহতের ভাই রাশেদুল ও বিপ্লব এসে লাশ সনাক্ত করে। এঘটনায় তাজহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করার প্রস্তুুতি চলছে।
নিহতের বড় ভাই রাশেদুল ইসলাম জানান, বিয়ের পর আমার বোন আজিজুল ইসলাম হাতকাটা নামের এক ব্যক্তির সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। পরে তারা দুইজনেই পালিয়ে যায়। অনেক খোঁজা খুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে জানতে পারলাম নগরীর মর্ডাণ মোড়ে ভাড়া বাসায় আজিজুল আমার বোন নাসরিনকে হত্যা করে মূখে কীটনাশক দিয়ে পালিয়ে যায়। আমার বোন মারা যাবার তিনদিন পর তার পুলিশের মাধ্যমে তার লাশের সন্ধান পাই। আমার বোনের খুনি আজিজুলসহ জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি।