ভোলায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ সামাজিক বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৭ এএম, ২ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:০৮ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার শশীভূষণে সামাজিক বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে ঝুমুর বেগম(১৫) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ নিজ ঘরের চালের বাগার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার খবর পাওয়া গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
আত্মহত্যায় নিহত অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ ঝুমুর বেগম উপজেলার শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মোঃ হারুন মোল্লার মেয়ে ও একই এলাকার জুয়েলের স্ত্রী।
গৃহবধূ ঝুমুরের মা বিলকিছ বেগম অভিযোগ করে জানান, প্রায় ছয় মাস আগে তার কিশোরী মেয়ে ঝুমুর বেগমকে ঘরে একা পেয়ে দূসর্ম্পকের মামা স্থানীয় রুহুল আমিনে ছেলে জুয়েল জোর করে ধর্ষন করে। বিয়ের আশ্বাসে বিষয়টি জানাজানি না করার জন্য বলায় মেয়ে কাউকে জানাননি। কিন্তু মাস খানের আগে মেয়ের শারিরীক পরিবর্তন দেখতে পেয়ে জানতে চাইলে মেয়ে জানান জুয়েল তাকে প্রায় ছয় মাস আগে জোরপূর্বক ধর্ষন করেছেন।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় মাতাব্বরেরা তিন লক্ষ টাকা কাবিন ধার্য করে কিশোরীকে ওই ধর্ষক জুয়েলের সাথে বিবাহ দেন। শর্ত ছিল মাসিক ৬ হাজার টাকা করে জুয়েল কিশোরী বধূকে দিবে গর্ভের সন্তান প্রসব না হওয়া পর্যন্ত। এবং পিতার বাড়িতে অবস্থান করবে।
তিনি আরো জানান, বিয়ের পর থেকে কিশোরী মেয়েকে জুয়েলের পরিবার বিভিন্ন ভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করে কথা বলতে থাকে। মেয়েটি মানসিক ও সামাজিক বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার পথ বেচে নেন। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। খবর পেয়ে দুপুর ১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
শশীভুষণ থানার অফিসার ইন-চার্জ(ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন,মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কেউ বলছেন আত্মহত্যার প্ররোচনা ও কেউ বলছেন মানসিক সমস্যা কারণে আত্মহত্যা করেছেন। ময়না তদন্ত রির্পোট এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে এই কর্মকর্তা জানান।