মিরপুরে গরু চুরি বাড়ছে, গত রাতে এক বাড়ীর ৫ টি গরু চুরি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৭ পিএম, ১ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:০১ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার মিরপুরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গরু চোরেরা। তাদের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকার মানুষ। প্রতিরাতেই কোনো না কোনো এলাকায় হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। গত কয়েক মাসে প্রায় অর্ধশতাধিক গরু চুরি হয়েছে এ এলাকা থেকে।
গতকাল রাতেও মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে ৫টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। মুসা প্রামাণিক নামে এক গ্রাম পুলিশের বাড়ী থেকে ৫টি গাভী ও ষাড় গরু চুরি হয়ে যায়। এছাড়াও গেলো সপ্তাহে উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের বলিদাপাড়া মাঠপাড়া থেকে লাল প্রমাণিকের বাড়ীর গোয়াল ঘর থেকে ৩টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরেরা। কয়েক সপ্তাহ আগে চা দােকানী মাসুদের তিনটি গরু চুরি হয়ে যায়।
পুলিশের নজরদারির অভাব আর রাত্রিকালীন টহল না থাকার কারণে চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অনেকের অভিযোগ। সংঘবদ্ধ চোরের দল নানা কৌশলে চুরি করে যাচ্ছে। একটি সুত্র জানান, টহল পুলিশ এখন আর রাস্তায় নয়, টহল দেন কোন দোকানে, অথবা কোন পাতি নেতার অফিসে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরদারি জরুরি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী জিয়া বলেন, কোন না কোন রাতে গরুর গোয়াল ঘর থেকে চোরের দল হানা দিয়ে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে দরিদ্র কৃষকের সহায় সম্বল। যাদের গরু আছে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ জমানো সঞ্চয়, ধারদেনা কিংবা ঋণ নিয়ে গরু কিনে তা লালন পালন করে থাকেন। সংসারে একটু স্বচ্ছলতা আনতে তারা অনেক কষ্ট করে থাকেন। গরুর দুধ বিক্রি করে পরিবারের খরচের টাকা যোগায়। কৃষি নির্ভর পরিবারগুলো গরু দিয়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে। আর গরু চোরেরা যখন এসব মূল্যবান গরু চুরি করে নিয়ে যায় তখন হতদরিদ্র এসব পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়ে। রাতের বেলায় যেসব সড়কে আলো থাকে না কিংবা অনেকটা নির্জন ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশি উন্নত বিশেষ করে সে সব এলাকায় চুরির ঘটনা বেশি ঘটছে।
ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক ব্যক্তি জানান, গরুর ঘর থেকে রশি কেটে অথবা খুলে গরু গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। তবে এসব ঘটনায় গরু চোরদের কাউকে আটক না করার ফলে সহজে পার পেয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরের দল। গরু চুরি বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মো্স্তফা বলেন, গরু চুরির বিষয়ে পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।