ডিশ ব্যবসা দখলে নিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২১ এএম, ২৯ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ০৩:৪১ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ডিশ ব্যবসা দখলে নিতে ব্যর্থ হয়ে ১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে অপর গ্রুপের ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। মিজানের হাত-পা কুপিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হয়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোহার পাইপ দিয়ে পিটানো হয়।
মঙ্গলবার রাতে মাহমুদপুর এলাকায় এ ঘটনার পর তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসক। মিজান মাহমুদপুর এলাকার জজ মিয়ার ছেলে।
আজ বুধবার দুপুরে ছাত্রলীগ নেতার মিজানের স্ত্রী স্বপ্না বেগম ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মিজানের ছোট ভাই আলীনুরের ডিশ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় (ছাত্রলীগ অপর গ্রুপের সস্ত্রাসী) সন্ত্রাসী আনিছুর রহমান ভুলু, আব্দুর রহমান, জিএম আমিন হোসেন, তাইজুল ইসলাম তাজু, মজিবুর রহমান, হান্নান মিয়া শান্তসহ তাদের বাহিনীর ৫/৬ জনের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে আলীনুরের ডিশ ব্যবসা দখলে ব্যর্থ হয়ে মিজানকে মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে মাহমুদপুর তাইজুদ্দিন মার্কেটের সামনে লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপানো হয়। এ সময় মিজানের হাত ও পা ভেঙ্গে ফেলা হয়। তাদের মারধরে নিথর হয়ে মাটিতে লুটে পড়লে স্থানীয় লোকজন এসে মিজানকে উদ্ধার করে। বর্তমানে সে গুরুতর ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন হাওলাদার জানান, মিজান কুতুবপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি। সে রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা করে। তার বিরুদ্ধে কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ আমাদের কাছে নেই। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপরে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশের একজন অফিসারকে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আহতের স্ত্রী একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।