নারায়ণগঞ্জে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত- ৫০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৬ পিএম, ২৮ মার্চ,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৩২ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক ও সাইনবোর্ড এলাকায় দফায় দফায় হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ এবং সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।
আজ রবিবার (১৮ মার্চ) হেফাজতে ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে সকাল থেকে ঢাকা-চট্রগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ার পুড়িয়ে, গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে হরতাল সমর্থকরা।
সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কয়েক দফায় পুলিশ-হেফাজত সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বেলা সাড়ে ১০টা ও ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় হেফাজত ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদানে গ্যাস ও শর্টগানের গুলি ছুড়েছে। এতে সাংবাদিক, পুলিশ ও হরতাল সমর্থকদের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।
সেখানে মোতায়েন ছিল র্যাব-পুলিশ-বিজিবিসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। পরিস্থিতি থমথমে অবস্থায় রয়েছে। তবে বেলা একটার দিকে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদিকদের জানান, পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ-হেফাজত সংঘর্ষে এক তরুণ গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাকে ধরাধরি করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।
এর আগে সকালে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। তারা সড়কের কয়েকটি স্থানে টায়ার, গাছের গুড়ি ফেলে ও বাঁশে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। যানবাহন চালু করার চেষ্টা চলছে। সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা তিনি শুনেছেন।
হরতালকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ শহরে হেফাজতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ডিআইটির রেলওয়ে জামে মসজিদে ভোর থেকে অবস্থান নেয় কয়েকশ হেফাজত কর্মী-সমর্থকরা। মসজিদের বাইরেই প্রহরায় ছিল র্যাব-পুলিশ-বিজিবি সদস্যরা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তারা মসজিদ থেকে বেরোতে পারেনি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা হেফাজতের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে তারা কোনো মিছিল বা স্লোগান না দিয়ে মসজিদ ত্যাগ করেন।
তবে রেলওয়ে মসজিদ এলাকাসহ শহরের চাষাঢ়া, সাইনবোর্ড, শিমরাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মোতায়েন রয়েছে বিজিবি ও র্যাব।
হরতালের সার্বিক পরিস্থির বিষয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান আরো বলেন, সকাল থেকে জেলার কিছু কিছু স্থানে অবরোধ-বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে হরতাল সমর্থকরা। তবে তা নিয়ন্ত্রণে এনেছে পুলিশ।
সারা জেলায় ৫৮৫ জন পোশাকে এবং আরও ২০০ সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এছাড়া র্যাব ও বিজিবির সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।