ভাঙ্গায় থানায় হামলা, পুলিশের সাথে মুসল্লীদের সংঘর্ষে আহত ১৫, আটক ১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২১ এএম, ২৮ মার্চ,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:০১ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় পুলিশ ও মুসল্লীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ ১৫ জনের মতো আহত হয়েছেন। এ ঘটনার জের ধরে থানায় হামলা ও ভাংচুর এবং দুটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪৫ ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে।
আজ শনিবার দুপুরে উপজেলা সদরে থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। রিপোর্ট রেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চ্ট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ৪ জন মুসল্লী নিহতের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা ঈদগাহ মসজিদের সামনে থেকে দুপুর দুইটার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ভাঙ্গা বিশ্বরোড মোড় হতে ইদগাহ মোড়ে হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারও ঈদগাহ মসজিদের সামনে এসে জড়ো হয়। এসময় সেখানে পুলিশের সাথে মিছিলকারীদের বাদানুবাদের একপর্যায়ে সেখান হতে মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগে ওসমান বেপারী (৩০) নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। ওসমান বেপারীকে খবরে মিছিলকারীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। তারা মিছিল নিয়ে আবার থানা অভিমুখে রওনা হলে পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরে পুলিশ জামিয়া ইসলামিয়া কাশেমুল ঈদগাহ মাদ্রাসার মুহতামিম তালহা জুবায়ের (৪৮) ও আকাশ (২২) নামে আরো দুজনকে আটক করে।
ভাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) বিকাশ মন্ডল বলেন, মিছিলকারীরা হামলা করে থানার প্রধান ফটক ভাংচুর করে ও দুটি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। হামলায় ভাঙ্গা থানার এসআই শহিদুল (৪৭), এসআই আজাদ (৩৬), এএসআই আজিজ (৩৩), কনস্টেবল জয়নাল (৩৫), কনস্টেবল মতিয়ার (৪৩), কনস্টেবল শাহজালাল (২৭)। তাদের প্রথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৪৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করা হয়। ওসি তদন্ত) জানান, এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।