আওয়ামীলীগ নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩১ পিএম, ২১ মার্চ,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:২৯ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২৪
বরগুনার বেতাগীতে মসজিদ কমিটির সভাপতি সেজে মসজিদের নামে এল এ সেকশন থেকে বরাদ্দকৃত ৬ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক, উপজেলা আ’লীগের সদস্য সৈয়দ গোলাম রব শুক্কুর মীরের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, বুড়ামজুমদার ইউনিয়নে তাল বাড়ি গ্রামের সিকদার বাড়ি জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সভাপতি থাকা সত্তে¡ও মসজিদ কমিটির ভূয়া সভাপতি সেজে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মসজিদ স্থানান্তরের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ ০৪/১৫-১৬ নং এল এ কেসের বিধি মোতাবেক ১৭১ নং ক্রমিকের বরাদ্দকৃত ৬ লক্ষ ৬৯ হাজার ২৬১টাকা চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করেন এবং আত্মসাৎ করেন। যার চেক নং ০৪৩৭২১ (তারিখ, ৩ অক্টেবর ২০১৯)।
স্থানীয়দের সহায়তায় অনুসন্ধান করলে জানা যায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরগুনা(ভূমি হুকুম দখল শাখা) অধিগ্রহণ মামলা নং ০৪/১৫-১৬ ক্রমিক নং ১৭১ ফরম(গ)৬বিধির উপ-বিধি দ্রষ্টব্য নোটিশে ৭ ধারার অধিনে প্রাপক সভাপতি মসজিদ কমিটির সভাপতি সোবাহান পিতা মোজাফফর আলী ১৯৮২ সনের স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল অধ্যাদেশ ১৯৮২ সনের ২নং অধ্যাদেশ এর ৭ ধারার(৩) উপ-ধারা মোতাবেক নোটিশ প্রদাণ করেন করেন এবং উপরোক্ত সম্পত্তি অধিগ্রহণ মামলায় স্বার্থবান ব্যক্তি ও ব্যক্তিবর্গ বলিয়া গণ্য হয়। মতানুসারে নিম্নবর্ণিত হারে ক্ষতিপূরণ প্রদাণ করা হইবে মর্মে নোটিশে আরো উল্লেখ থাকে যে, ১০ আগস্ট ২০১৭ তারিখে কমিটির সভাপতিকে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
উক্ত টাকা বরাদ্দের বিষযে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শুক্কুর মীরের কাছে মসজিদের সভাপতি সোবাহান পরামর্শ নিতে গেলে, পরামর্শ সুপরামর্শ না দিয়ে চেয়ারম্যান নিজেই গোপনে মসজিদের ভূয়া কমিটির নিজে সভাপতি সেজে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন। এতে ওই এলাকার মসুল্লিদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তারা মসজিদ ফান্ডের জন্য ওই বরাদ্দ অর্থ চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ফেরত পাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
তবে এ ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করেন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব শুক্কুর। তিনি বলেন, আমি টাকা উত্তোলন করেছি এবং যে সকল কাজে টাকা খরচ করেছি তার ভাউচার আমার কাছে আছে। খরচের পর বাকি টাকা একটি ব্যাংক এ্যাকাউন্টে জমা করা আছে। তবে তিনি ওই মসজিদের সভাপতি কিনা এ বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে এড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সুহৃদ সালেহীন বলেন, মসজিদের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তার তদন্ত চলছে অতিশিঘ্রই এর প্রতিবেদন পাবো এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।