ব্যবসায়ীর দাঁত ভাঙার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৫ পিএম, ১৭ মার্চ,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৫৯ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
সিগনাল না মানায় নাটোরে বন্দুকের বাট দিয়ে এক মাটি ব্যবসায়ীর পাঁচটি দাঁত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর নাম কামরুল হাসান ওরফে মিন্টু।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হরিশপুর রহিমের পেট্রোল পাম্প এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যবসায়ী কামরুল হাসানকে বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি শহরের হরিশপুর কামারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তাকে রাইফেলের বাট দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পুলিশ সদস্য অনিক হাসানের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় তার বিচার দাবিতে নাটোর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নাটোর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শওকত মেহেদি সেতুর নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছিলেন। মাটি ব্যবসায়ী কামরুল মোটারসাইকেল যোগে শহরতলীর দত্তপাড়া এলাকা থেকে হরিশপুর যাচ্ছিলেন তখন।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে থাকা পুলিশ সদস্য অনিক হাসান মাটি ব্যবসায়ী কামরুলকে সিগনাল দেন। কিন্তু তিনি তা না মেনে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
পরে কিছু দূর গিয়ে কামরুল তার মোটরসাইকেল থামিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে আসেন। এ সময় ওই পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অনিক হাসান নিজের কাছে থাকা রাইফেলের বাট দিয়ে মিন্টুর মুখে আঘাত করেন।
এতে মিন্টুর ৫টি দাঁত ভেঙে যায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশ সদস্য অনিক হাসানের বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
মিন্টুর ভাই মিজানুর রহমান মিঠুন জানান, খবর পাওয়ার পর ভাইকে উদ্ধার করে প্রথমে শহরের আলসান হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে এশিয়া ডেন্টালে নেওয়া হয়েছে। বন্দুকের বাটের আঘাতে ৫টি দাঁত ভেঙে গেছে।
এ বিষয়ে নাটোর জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার সময় মাটি ব্যবসায়ীকে পুলিশ সদস্য সিগনাল দিলে তিনি অমান্য করে চলে যান।
মোটরসাইকেলটি স্পিডে চালানোর সময় পড়ে গিয়ে মাটি ব্যবসায়ীর ঠোঁট কেটে গেছে এবং দাঁতে আঘাত পেয়েছেন। তারপরও আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।’ এ ছাড়া পুলিশ সদস্য দোষী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।