নান্দাইল দিঘী, পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠার অন্যতম উৎস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩৫ পিএম, ১৫ মার্চ,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৩৪ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার ঐতিহাসিক বৃহৎ নান্দাইল দিঘীকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠার যথেষ্ট সম্ভবনা থাকলেও নানা সমস্যার কারনে তা বাস্তবায়নে হচ্ছে বিলম্ব। তারপরেও উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ ও প্রাচীন নান্দাইল দিঘীর নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে প্রায় প্রতিদিনই আসছেন শত শত দর্শনার্থী। বাংলাদেশে পর্যটন খাত অত্যন্ত দুর্বল, বিশ্বেও অনেক দেশ ই-পর্যটন খাতের আয় দিয়ে জিবন জীবিকা নির্ভর করে আসছে। সেই দিক দিয়ে বাংলাদেশ অনেক পিছনে পড়ে আছে।
উত্তরবঙ্গে অবস্থিত, জয়পুরহাট জেলা শহর থেকে প্রায় ২২কিঃ মিঃ পূর্ব দিকে জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কের পাশে অবস্থিত ঐতিহাসিক নান্দাইল দিঘী। জনশ্রুতিতে জানা যায়, রাজা নন্দলাল নামে কোন এক জনহিতৈষী শাসক প্রজা সাধারণের জন্য দিঘীটি খনন করেন। কালাই উপজেলায় অবস্থিত জলাশয় ও পাড়সহ প্রায় ১০০ একরের বৃহৎ এই দিঘীটিকে ঘিরে রয়েছে নানা কল্পকাহিনী।
পর্যটন শিল্পের জন্য ব্যাপক সম্ভাবনাময় দিঘীটির চার পাশে রয়েছে বেশ কিছু অবৈধ্য স্থাপনা। এ সব অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদ, দর্শনার্থীদের বসার স্থান ও আবাসন ব্যবস্থা সহ সংস্কার করতে পারলে এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠার সব প্রচেষ্টা উজ্জল হবে। তারপরও শত শত বছরের পুরনো এই ঐতিহাসিক দিঘীটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে প্রতিদিন আসছেন শত শত দর্শনার্থী। নৈসর্গিক দৃশ্য দেখে দর্শনার্থীরা জানালেন এখানকার পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠার সম্ভাবনার কথা। তবে কিছু সমস্যার কথাও জানিয়েছেন তারা।
প্রাচীন এই দিঘীটির সমস্যার কথা স্বীকার করে এসব সমাধানের সুপারিশ করেছেন বিশিষ্ট জনেরা। পাশাপাশি দিঘীটির নান্দনিক পরিবেশ বজায় রাখতে ও সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে সাড়ে ৩ কোটি টাকার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে বলেও দাবী করলেন এই উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফিজুর রহমান মিলন। দিঘীটির সংস্কারসহ আশপাশের অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদ করে এখানে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠলে এক দিকে বাড়বে দেশী-বিদেশী দর্শনার্থীদের ভীর অন্য দিকে সরকারি কোষাগারের জমা হবে বিপুল আয়।