শেখ হাসিনা বিএনপিকে ভয় পান - রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৩ এএম, ১৫ মার্চ,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫৬ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
দীর্ঘ ৩২ বছর পর প্রতীক্ষিত মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। দিন শেষে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ৪৫ জন কাউন্সিলরের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।
আজ রবিবার সকাল ৯টা থেকে দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জামিলুর রশিদ খানের সভাপতিত্বে মানিকগঞ্জের সেওতা এলাকায় অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মানিকগঞ্জের সাত উপজেলা ও দুইটি পৌরসভার ৪৫ জন কাউন্সিলরের উৎসবমুুখর ভোটের মাধ্যমে জেলা বিএনপির আগামী ২ বছরের জন্য সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা খান রিতা ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য এস এ জিন্নাহ কবীর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্রনায়ক দেশের জনগণকে ছেড়ে যাননি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শেখ মুজিবুর রহমান আত্মগোপন করে পাকিস্তানিদের সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন। এটাই হলো আওয়ামী লীগ। এ কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে শেখ হাসিনার পরিবারের কোনো ভূমিকা নেই। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন তাজউদ্দীন আহমেদ। কিন্তু আজ শেখ হাসিনার রোষানলে পড়ে তাজউদ্দীন আহমেদের পরিবারের কেউ টিকতে পারেনি। শেখ হাসিনার এই ১২ বছরে দেশে বিচারবহির্ভূত অসংখ্য হত্যা, খুন, গুম হয়েছে। তিনি দেশের একজন নারী প্রধানমন্ত্রী অথচ তার সময়ে দেশের অসংখ্য নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শেখ হাসিনা মূর্খের স্বর্গে বসবাস করছেন, তিনি মিথ্যা ইতিহাস বলে বেড়াচ্ছেন। শেখ হাসিনা বিএনপিকে ভয় পান বলেই সভা-সমাবেশ, সেমিনার বন্ধ করে দিয়েছেন। শেখ হাসিনার সময় বিরোধী দল কাজ করতে পারবে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনের মধ্য দিয়ে অবৈধ সরকারের পতন ঘটানোর শপথ নিতে হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবলু, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম খান শান্ত, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান, নূরতাজ আলম বাহার, মোতালেব হোসেন, তোজাম্মেল হক তোজা, আব্দুল হামিদ ডাবলু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এর আগে সর্বশেষ ১৯৮৯ সালে দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলের মাধ্যমে জেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সে সময় বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন সভাপতি ও মরহুম আব্দুর রাজ্জাক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।