শহীদ জিয়া ও কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র স্বাধীনতার ঘোষণার চিরন্তন সাক্ষী - ডা. শাহাদাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৯ এএম, ১৫ মার্চ,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৩৭ পিএম, ১২ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহীদ জিয়া ও কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র স্বাধীনতা ঘোষণার চিরন্তন সাক্ষী। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র যেখান থেকে ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ শহীদ জিয়া দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন সেখানে বিএনপি সমাবেশ করবে। ২৭ মার্চ সমাবেশকে সফল করার জন্য বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের এখন থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।
ডা শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, শহীদ জিয়া ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে ঐতিহাসিক বিপ্লব উদ্যান থেকে "আই রিভোল্ট" বলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শহীদ জিয়া মহান স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু হয় এবং বাংলাদেশের আবাল বৃদ্ধ জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। শহীদ জিয়া শুধু মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাই দেননি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের অনন্য অবদানের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। মূলত একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের খ্যাতনামা কোনো নেতা সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। এজন্য শহীদ জিয়ার প্রতি ওনাদের গাত্রদাহ। তাই শহীদ জিয়ার ‘বীর উত্তম খেতাব’ নিয়ে সরকার বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে।
আজ রবিবার দুপুরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ২৭ মার্চের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র সমাবেশ স্থল পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ আবু সুফিয়ান বলেছেন, বিএনপিই মুক্তিযুদ্ধের দল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ব্যারাকে ফিরে গিয়েছিলেন। যারা শহীদ জিয়ার বীর উত্তম খেতাব নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে তারা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে বিকৃত করছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইস্কান্দার মির্জা, সদস্য কামরুল ইসলাম, নগর বিএনপির সাবেক সম্পাদক মোহাম্মদ বখতিয়ার, আব্দুল আজিজ, চাঁদগাঁও থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফ খান, ৫ নং মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জানে আলম জিকু, একদম শুলকবহর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসান চৌধুরীর ওসমান, নগর যুবদল নেতা ম হামিদ, নগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জিয়া রহমান জিয়া, যুবদল নেতা গুলজার হোসেন, নগর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।