দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ, চাঁদা দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৪ পিএম, ১২ মার্চ,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৩৩ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
কুষ্টিয়ায় দুই সন্তানের জননীকে দুই জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা ধর্ষিতাকে দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে ধর্ষকরা।
চাঁদার টাকা আনতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়ে দুই ধর্ষক এবং ধর্ষকদের পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।
ধর্ষিতা ওই নারী জানান, গত ১০ মার্চ, বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়ায় একটি কোচিং সেন্টারে তাঁর বড় ছেলেকে নিয়ে যায়। সাথে ৪ বছরের ছোট ছেলেটাও ছিল। কোচিং সেন্টারের আরেক ছাত্রের মা আমাকে বলেন, চলেন আমার বোনের বাড়িতে যায়।
আমি সরল বিশ্বাসে তার সাথে যায়। ওই ভাবী আমাকে কুষ্টিয়া এন.এস. রোর্ডের একতারা মোড়ের একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি রুমে বসে থাকা অবস্থায় ওই ভাবীর মোবাইলে একটি কল আসে। ভাবী আমাকে বসিয়ে রেখে বাইরে গিয়ে দরজা আটকে দেয়।
সেই রুমে আরেকটি দরজা ছিল। সেই দরজা দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে দুইটি ছেলে বেড়িয়ে আসে। তারা আমার ছোট ছেলেকে জিম্মি করে দুই জন মিলে আমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং সেই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। তারা আমাকে বলে তুই ৫০ হাজার টাকা দিবি। না হলে এই ভিডিও তোর স্বামীর কাছে দিয়ে দেব।
আমি হাত-পা ধরলে তারা ২০ হাজার টাকা দিলে কাউকে জানাবে না বলে জানান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দুপুর থেকে ওই ধর্ষকরা আমাকে ফোন দিতে থাকে। পরে আমি কোন উপায় না পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের কাছে যায়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবির বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে এসআই সাহেব আলী ও এএসআই আসাদের নেতৃত্বে সাদা পোশাকে একটি টিম গঠন করে। তাঁরা রিক্সা চালক সেজে আসামিদের ধরতে সমর্থ হয়।
এদিকে এই আসামী ধরতে গিয়ে পুলিশ এলাকার কিছু যুবকের বাঁধার সম্মুখীন হয়। একপর্যায়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে তারা। ঘটনাস্থলে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবির উপস্থিত হয়ে আসামিদের ধরে থানায় নিয়ে আসে।
ওই দুই ধর্ষক ও চাঁদাবাজ হলেন কুষ্টিয়া শহরের নারিকেল তলা এলাকার আঃ করিমের ছেলে রবিউল ইসলাম সোহাগ (২৪), আড়ুয়াপাড়া এলাকার শফিউল ইসলামের ছেলে শাকিল আহমেদ (২২)। তবে একতারা মোড়ের ওই বাড়িতে নিয়ে যাওয়া ভাবির পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবিরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটি ধর্ষণের মামলা হয়েছে। আমরা ধর্ষকদের গ্রেফতার করেছি। তাদের খুব শীঘ্রই কোর্টে চালান দেওয়া হবে।