মশার ও বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অসহায় গফরগাঁওবাসী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৯ পিএম, ৯ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:০৬ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ময়মনসিংহে গফরগাঁওয়ে মশার আক্রমনে বাসা বাড়িতে কিংবা অফিসে সর্বত্রই মশার রাজত্ব। গ্রাম বা শহরের মানুষজনকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে মশা। ফাল্গুনে এই খরায় মশার উপদ্রব দিনদিন বাড়ছে।
স্থানীয়রা বলছে, বাতাস ও বৃষ্টি না হওয়া তিনগুন বেড়েছে মশা। অপর দিকে ও বিদ্যুৎতের ভেলকিবাজিতে অসহায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। পৌর শহরে চলছে গ্যাস সংকট। মশার উপদ্রবে নাজেহাল ও বিদ্যুৎতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে গফরগাঁওবাসী।
এই দুই কারনে গফরগাঁও উপজেলা ও পৌরবাসী স্বাভাবিক জীবন যাত্রা দারুনভাবে ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলার চরমছলন্দ গ্রামের মানিক মিয়া এ প্রতিনিধিকে বলেন, গফরগাঁওয়ে কৃষকের ইরি বোর ধান চাষের পাশাপাশি মনে হয় যেন মশার চাষ হচ্ছে।
গ্রামে কিংবা শহরে মশা দল বেধে উড়ছে বিমানের মতো। গ্রাম বা শহরে মশার যন্ত্রনা সবচেয়ে বিপাকে পড়ছে মাদ্রাসা, স্কুল, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া শিক্ষাথীরা। মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে দিনেও কয়েল জ্বালিয়ে লেখাপড়া করছে শিক্ষার্থীরা।
পৌর শহরের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, মশার যন্ত্রনা আমরা পৌরবাসী অতিষ্ঠ। চা ষ্টলেও বসেও মশার যন্ত্রনা ভালো করে চা পান করা যায় না। তবে ভারী বৃষ্টি হলে মশা কমে যাবে বলে আমি আশা করি।
চরমছলন্দ গ্রামের জামাল উদ্দিন বলেন, গ্রামগঞ্জে চার দিকে ইরি বোর রোপন করায় আর ফাল্গুন মাসের বাতাস না থাকায় মশার উৎপাত বেড়ে গেছে চারগুণ। রাতে গোয়াল ঘরেও মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখলেও মশা যাচ্ছে না।
অপরদিকে গফরগাঁও পিডিবি ও পল্লী বিদুৎ অফিস সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে বিদ্যুৎতের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় এতে বিদ্যুৎতের তীব্র লোডশেডিং দেখা দিয়েছে।