কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সভাপতিকে পেটালেন আবদুল কাদের মির্জা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৩ এএম, ৯ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১২:২২ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বসুরহাট পৌসভার মেয়র , বাংলাদেশ আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বসুরহাট বাজারের রুপালী চত্বরের উপজেলা আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
কাদের মির্জার ভাগ্নে ও খিজির হায়াত গ্রুপের অন্যতম নেতা ফখরুল ইসলাম রাহাত এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, সম্প্রতি মেয়র কাদের মির্জার অপরাজনীতির বিরোধিতা করে আসছিল খিজির হায়াত খান। এ বিরোধের জের ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে এই ঘটনা ঘটান কাদের মির্জা। খিজির হায়াত খান বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, কাদের মির্জা ও তার ছোট ভাই সাহদাতের নেতৃত্বে অস্ত্রধারীরা এই হামলা করে। ওই সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ ফরহাদ লিংকনকে পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখা হয়। তিনি আরও দাবি করেন, এ সময় কাদের মির্জা ও সাহদাতের সন্ত্রাসী বাহিনী পৌর এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দেয়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান অভিযোগ করে বলেন, বিকেল ৫টার দিকে তিনি উপজেলা আ’লীগের কার্যালয়ে একা অবস্থান করছিলেন। ওই সময় মেয়র কাদের মির্জা অফিসে এসে প্রথমে কলার ধরে আমাকে লাঞ্ছিত করে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে তার সাথে থাকা তার শতাধিক সমর্থকসহ কলার ধরে রাস্তার নিয়ে এসে লাথি, কিল, ঘুষি মেরে পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলে। আমাকে এমনভাবে পেটালেন যেন আমি একজন পকেটমার, চোর। এ সময় আমি থানা পুলিশকে জানালেও তারা আমাকে কোন সহযোগিতা করেননি।
এ বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি নিজে ফোন ধরেননি। অন্য এক ব্যক্তি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) রিসিভ করে দাবি করেন কাদের মির্জা কোন হামলা করেননি।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনিকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে ওসি তদন্ত রবিউল হক বলেন, সম্প্রতি মেয়র কাদের মির্জা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় বন্ধ করে দিলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানের নেতৃত্বে একটি নতুন দলীয় অফিস নেয়া হয়, যেটি পুরনো অফিসের পাশেই। আজ সেখানে মিলাদ হওয়ার কথা ছিলো। খিজির হায়াত খান কয়েকজন লোক নিয়ে সে অফিসে অবস্থান করছিলেন। এসময় মেয়র কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার উপর হামলা হয় এবং তাকে মারধর করা হয়।