বাংলাদেশের চেয়ে কম দামের সার বিশ্বের কোথাও নেই - কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৫ এএম, ৭ মার্চ,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:০৩ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় ‘আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় বোরো ধান বীজ উৎপাদন প্রদর্শনীর মাঠ পরির্দশন ও মাঠ দিবস’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে মহাদান ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর খামারবাড়ী জামালপুরের উপ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ জাকিয়া সুলতানা সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আসাদুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ ছাড়া আরোও বক্তব্য রাখেন, প্রকল্প পরিচালক, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের ধান,গম ও পাট বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প ও বিসিএস কৃষি ক্যাডার এসোসিয়েশনের সভাপতি কৃষিবিদ মোয়াজ্জেম হোসেন, ময়মনসিংহ কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুল মাজেদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন পাঠান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন বাদশা, সহসভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ লতিফ, মহাদান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম আনিছুর রহমান জুয়েল, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল আওয়াল প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকার খামার বাড়ীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর মহা-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আসাদুল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশের চেয়ে কম দামের সার বিশ্বের কোথাও নেই। কৃষকদের জন্য সরকার ভর্তূকি মুল্য সার, বিনামুল্য বিভিন্ন ধরনের বীজ সহায়তা দিচ্ছেন। কৃষিতে ধান উৎপাদনে ইন্দোনেশিয়ার পরেই বাংলাদেশ এর স্থান ৪র্থ ছিল। সরকার কৃষকদের জন্য সদয় থাকার জন্যই কৃষকদের কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধিতে আগ্রহ বৃদ্ধি মুলক বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার কারনেই ইন্দেনেশিয়াকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমান সরকার কৃষকদের জন্য করোনা কালীন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে কৃষকের উৎপাদিত ফসলাদি’র ন্যায্য মুল্য পাচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সচেতন আছেন বলেই আজকের বাংলাদেশ ক্ষুধা মুক্ত হয়েছে।
তিনি আরাও বলেছেন, স্বাধীনতার সময় দেশে চাল উৎপাদন ছিল ১ কোটি ১০ লক্ষ মেঃ টন। আর বর্তমানে তা উন্নিত হয়েছে ৮৭ লক্ষ মেঃ টন। উৎপাদন বেড়েছে সাড়ে ৩ গুন। ফসলের টেকশসই ও লাভজনক উৎপাদনের লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। কৃষকদের জন্য ভর্তুকি মুল্যে ১৫ হাজার ধান কাটা মেশিন প্রদান করা হবে বলেও তিনি তার বক্তব্য উল্লেখ করেন। মাঠ দিবস অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার মোহাম্মদ রহন মিয়া ও উম্মে তামীমা। উক্ত অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারী, কৃষক উপস্থিত ছিলেন।