কমলগঞ্জে ছুরিকাঘাতে সিএনজি চালক নিহত, সড়ক অবরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩৭ পিএম, ৫ মার্চ,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৩৯ এএম, ২৬ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগরে ছুরিকাঘাতে জলিল আহমেদ (২৩) নামে এক সিএনজি অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ ঘটিকায় উপজেলার শমসেরনগরের বড়চেগ সিএনজি গ্যাস পাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সিএনজি চালক জলিল আহমেদ উপজেলার আলীনগর বস্তির লাল মিয়া ছেলে। জলিলের সংসারে ২ বছরের এক ছেলে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় বড়চেক সিএনজি পাম্পে গ্যাস নিতে যান কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া শফি। নিজের প্রাইভেট কারে গ্যাস নেওয়া নিয়ে তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন সিএনজি চালক জলিল।
এ সময় হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। খবর পেয়ে সিএনজি চালক ও শফির স্বজনরা ঘটনাস্থলে পৌছলে উভয়ের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্ধকারে মধ্যে কে বা কারা সিএনজি চালক জলিলকে ছুরিকাঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথম তাকে কমলগঞ্জ হাসপাতালে ও পরে মৌলভীবাজারে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে রাতে জলিলকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ঘটনায় সিএনজি চালক সহ এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কমলগঞ্জ-শমসেরনগর সড়কের হালিমাবাজার এলাকায় নিহত জলিলের স্বজন ও এলাকাবাসি সড়ক অবরোধ করে।
এ সময় সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান ও ওসি (তদন্ত) সোহেল রানার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘাতকদের আটকের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবরোধ তুলে দেন।
আলাপকালে জলিলের স্ত্রী জরিনা বেগম কান্না জরিত কন্ঠে বলেন, যারা আমার স্বামীকে মেরেছে এবং আমার বুকের ধনকে পিতাহারা করেছে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান।
কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য রাতেই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে এবং এখনো অভিযান অব্যাহত রয়েছে।