জামিন জালিয়াতি মামলার প্রধান আসামী যুবলীগ নেতা আমিনুলসহ ১৬ আসামী কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩১ এএম, ৫ মার্চ,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:০৯ এএম, ২ অক্টোবর,
বুধবার,২০২৪
চাঁদাবাজি, মারপিট ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দায়েরকৃত মামলায় জামিন জালিয়াতির ঘটনায় বগুড়ার যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বগুড়ায় টার্মিনাল দখল নিয়ে আওয়ামীলীগের দু পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ ফেব্রুয়ারী এ মামলা দায়ের হয়েছিল।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণের পর জামিন আবেদন করলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আসমা মাহমুদ।
আসামী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল মান্নাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই মামলায় বুধবার আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণের পর জামিন আবেদন করলে ১৪ আসামীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন একই আদালত।
ভুয়া আগাম জামিননামা তৈরির ঘটনায় হাইকোর্টের গ্রেপ্তারি নির্দেশনা দেয়ার ৯ দিন পরে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হল।
বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো ১৬ আসামীরা হলেন, বগুড়া সদর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুল ইসলাম, আবদুল আলিম, আনোয়ার মন্ডল, মোহাম্মদ বাদল, সেলিম, কিবরিয়া, রাশেদুল, সাদ্দাম, মাহমুদ, রতন, সেলিম রেজা, রুহুল আমিন, জাহিদুর রহমান, নুর আলম মন্ডল, বিপুল ও সুমন প্রামানিক।
বুধবার কারাগারে পাঠানো ১৪ আসামীরা হলেন বগুড়া সদরের গোদারপাড়া এলাকার লিটন প্রামানিক, মোহাম্মদ মানিক, মোহাম্মদ জাকির, মোহাম্মদ তানভির, মোহাম্মদ আবদুল গনি, রাসেল মন্ডল, আসাদুজ্জামান মনা, খোকন, শিপন, আল আমিন, দীপ্ত, মিরাজ, হেলাল ও রাব্বী।
উল্লেখ্য, বগুড়ায় মোটরমালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ১০ ফেব্রুয়ারি পাল্টাপাল্টি ৩টি মামলা হয়। এর মধ্যে একটিতে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের ছোট ভাই মশিউল আলম দীপন বাদী হয়ে উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুল ইসলামকে প্রধান করে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ওই মামলায় ৩৩ আসামির মধ্যে ৩০ জনের জামিননামার ভুয়া নথি তৈরি করা হয়।
ভুয়া জামিননামার বিষয়টি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ধরা পড়ার পরপরই বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামিদের গ্রেপ্তারের আদেশ দেয়। সাত দিনের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করতে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেয়া হয়। বিষয়টি তদন্ত করতে বগুড়ার মুখ্য বিচারিক হাকিমকে নির্দেশও দেয় আদালত। মামলার বিষয়ে অনুসন্ধান করে জানা যায়, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চের উল্লেখ করে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জামিন পাওয়ার দাবি করেন বগুড়ার যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামসহ ৩০ আসামি। তবে ওই দিন এই আদালত থেকে এমন কোনো আদেশ হয়নি। এমনকি সেখানে যেসব আইনজীবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাও ভিত্তিহীন।