পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য রায়হানের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে চায় পিবিআই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৪ এএম, ১৫ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ১০:৫২ পিএম, ২০ অক্টোবর,রবিবার,২০২৪
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পিবিআইয়ের একটি দল সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে প্রবেশ করে। পিবিআই দলের নেতৃত্বে ছিলেন পুলিশ সুপার (পিবিআই) মোহাম্মদ খালেদুজ্জামান। এসপি মোহাম্মদ খালেদুজ্জামান বলেন, আজ ফাঁড়িটি প্রাথমিক পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণে কিছু আলামত মিলেছে। তদন্তকালে এ ঘটনায় যাদের জড়িত পাওয়া যাবে মামলায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তিনি জানান, পূর্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বাতেনের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক অনুমতি প্রদান করে একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেছেন। ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে খুব শীঘ্রই রায়হানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হবে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকালে রায়হান আহমদের মারা যাওয়া ঘটনায় হওয়া মামলা পিবিআইতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয় পুলিশ সদর দপ্তর। পরে এদিন রাতেই মামলার নথি আনুষ্ঠানিকভাবে পিবিআইতে হস্তান্তর মহানগর পুলিশ।
রায়হান হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই বাতেন পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কবর থেকে উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর (রোববার) ভোরে আখালিয়া নেহারিপাড়ার রায়হান আহমদ (৩৪) নিহত হন। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে প্রচার করা হয়, ছিনতাইয়ের দায়ে নগরীর কাস্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হন রায়হান। তবে বিকেলে পরিবারের বক্তব্য পাওয়ার পর বক্তব্য পাল্টাতে থাকে পুলিশ। পরিবার দাবি- সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে প্রাণ হারায় রায়হান।
এ ঘটনায় রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বন্দর ফাঁড়ির সকল পুলিশকে অভিযুক্ত করে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় আসামিদের অজ্ঞাত রেখে মামলা করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। পরদিন রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) শাহরিয়ার আল মামুনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এসএমপি। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন কোতোয়ালি থানার সহকারী কমিশনার নির্মল চক্রবর্তী ও বিমানবন্দর থানার সহকারী কমিশনার প্রবাস কুমার সিংহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ হেফাজতে রায়হান উদ্দিনের মৃত্যু ও নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতাও পায় তদন্ত কমিটি। পরে সোমবার বিকেলে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ ৪ পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত ও ৩ পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়।
সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা চার পুলিশ সদস্য হচ্ছেন- বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাস। প্রত্যাহারকৃত তিন পুলিশ সদস্য হচ্ছেন এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেন।