

ধামরাইয়ে মহাসড়কের পাশ থেকে কারখানা শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২০ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১২:০৮ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২৩

ঢাকার ধামরাই আরিচা মহাসড়কের পাশে কয়লার ডাম্পিং জোন কারখানায় শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে ধামরাই উপজেলার বালিথা “কেবিসি রাইস ব্যান অয়েল" কারখানার একজন শ্রমিক ও বাথুলী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ কানা বাবুল হোসেনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (২৮)।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ধামরাই থানা পুলিশ মহাসড়কের বালিথা বাথুলী বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে খুন হওয়া ওই শ্রমিকের লাশটি উদ্ধার করেছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
পারিবারিক সুত্রে ও খুন হওয়া কালামের বন্ধুরা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় কারখানা ছুটি হওয়ার পর তিনি বালিথা বাথুলী বাজার বাসস্ট্যান্ডে তার পিতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসেন। এবং রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার নয়ারহাট এলাকায় পাওয়ানা টাকা আদায় করার কথা বলে পিতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চলে যান তিনি।
রাত গভীর হলে ছেলে বাড়ীতে না ফিরলে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। এতে পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়ে। সকাল হতে না হতেই পথচারিরা বালিথা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংলগ্ন কয়লার ডাম্পিং জোনে ওই কারখানা শ্রমিকের লাশ দেখতে পান। এরপর তার পরিবার ও থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন।
ধামরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে খুন হওয়া ওই কারখানা শ্রমিকের লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ময়না তদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়াদি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এব্যাপারে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুুতি চলছে বলে জানা গেছে। খুন হওয়া ওই কারখানা শ্রমিকের পিতা কানা বাবুল জানান,আমার সন্দেহ হয় ওরা আমার আজাদকে টাকা না দিয়ে নির্মমভাবে খুন করে এই স্থানে গাড়ীযোগে তার মরদেহটি ফেলে রেখে গেছে। আমি খুনিদের কঠোর ও বিচার ও ফাঁসি চাই।
ধামরাই থানার ওসি তদন্ত মোঃ কামাল হোসেন বলেন,বালিথা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর আসল ঘটনা জানা যাবে ।