নারায়ণগঞ্জে শাব্বির আলম খন্দকারের ১৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৩ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৪৫ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী আন্দোলনের পথিকৃত, বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি, বিশিষ্ট শিক্ষা ও ক্রীড়ানুরাগী, সমাজ সেবক শহীদ সাব্বির আলম খন্দকারের ১৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এক শোক র্যালী ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বিশাল শোক র্যালী বের হয়।
শহীদ সাব্বির আলম খন্দকারের ১৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার এবং নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করার দাবীতে শহীদ সাব্বির আলম খন্দকার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আয়োজিত উক্ত শোক র্যালীতে দল-মত, জাতি-র্ধম নির্বিশেষে কয়েক হাজার নারায়ণগঞ্জবাসী যোগ দেয়। শোক র্যালী নিয়ে মাসদাইর সিটি কবরস্থানে গিয়ে শহীদের কবর জেয়ারত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালী পূর্ব সমাবেশে অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক ও মরহুম এর বড় ভাই অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দাকার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড. আজাদ বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সদস্য মাসুকুল ইসলাম রাজীব, বিএনপির ও আইনজীবি নেতা এড. সরকার বোরহান, এড. হামিদ ভাসানী, এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা শ্রমিক দল সভাপতি নাসির উদ্দিন, মহানগর শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন।
অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দাকার বলেন, ‘আমার ভাইকে কোন ব্যক্তিগত কারণে হত্যা করা হয়নি। শুধু মাত্র সমাজসেবায় মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ভাই আইনশৃঙ্খলার মিটিংয়ে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজীদের নাম উল্লেখ্য করে এবং তারা কে কত টাকা পায় এসব বলার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আজও আমার ভাইয়ের হত্যা বিচার পাইনি। শুধুমাত্র টাকার কাছে হেরে গেছি। হত্যাকারীরা টাকা দিয়ে ক্রটিপূর্ণ চার্জশীট করিয়েছে। খুনিরা আবারো ঢাকায় ফিরে আমাদের খুন করার হুমকি দিচ্ছে। তিনি ১৮ই ফেব্রুয়ারিকে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী দিবস ঘোষনার দাবী করেন।
১৮ই ফ্রেবুয়ারিকে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী দিবস ঘোষনার দাবী করে বক্তারা বলেন, আজ যেই মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার সহ দেশবাসী কথা বলছে, সেই মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্বে শহীদ শাব্বির আলম খন্দকার নব্বইয়ের দশক থেকেই সোচ্চার ছিলেন। তিনি মাঠ পর্যায়ে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্বে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় মাদক ও সন্ত্রাসের গডফাদারদের চক্ষুসূলে পরিনত হন।
সমাজের ও দেশের চিন্তা করেই একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হয়েও অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েও তার হত্যার বিচার পাইনি তার পরিবার। বক্তারা সমাবেশ থেকে হত্যাকারীদের ফাঁসি ও নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করার এবং দাবি জানান ১৮ই ফ্রেব্রুয়ারিকে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী দিবস ঘোষনার দাবী করে বক্তারা।
এর আগে সকালে ৯টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইরে সাব্বির আলম খন্দকারের স্মরণে ও খুনিদের গ্রেপ্তার এবং বিচার দাবিতে নারায়ণগঞ্জ সর্বস্তরের সন্ত্রাস বিরোধী জনগণ ব্যানারে মানববন্ধন করে বিএনপির নেতারা। ওই মানববন্ধন থেকে হত্যাকারীদের ফাঁসি ও নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করার দাবি জানান বক্তারা।