পুলিশের ফেসবুক পেজে স্ত্রীর অভিযোগ, স্বামী আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩৫ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৩৯ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বিভিন্ন নারীর সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি যোগাযোগ করে সম্পর্ক গড়তেন। তারপর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকাপয়সা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিতেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে নাজমুল হাসান নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্ত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নাজমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার ভোররাতে সিরাজগঞ্জের সয়াধানবাড়ি এলাকা থেকে নাজমুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানার পাঠানো এক প্রেসনোটে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেসনোটে বলা হয়েছে, পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত বাংলাদেশ পুলিশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক নারী তাঁর স্বামী নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি যোগাযোগ করে সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগটি দিয়েছিলেন। সেখানে ওই নারী আরও অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী প্রতারণা মূলকভাবে বিয়ে করে ও নারীদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন।
পরে তাঁদের কাছ থেকে টাকাপয়সা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিতেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামীর কাছে এভাবে অনেক মেয়ে প্রতারিত হয়েছেন। কিন্তু লোকলজ্জায় কেউ তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, অভিযোগটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) শ্যামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেওয়া হয়। শ্যামপুর থানার পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে থানায় ওই নারীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শ্যামপুর মডেল থানার ওসি মফিজুল আলম এবং উপপরিদর্শক (এসআই) দেবকুমার আচার্যের নেতৃত্বে একটি দল গঠন করা হয়।
অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে দলটি তথ্যপ্রযুক্তি ও নানা গোয়েন্দা কৌশল অবলম্বন করে অভিযুক্ত নাজমুল হাসানকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। কিন্তু নাজমুল বারবার তাঁর অবস্থান পরিবর্তন করছিলেন। শেষমেশ গতকাল ভোররাতে সিরাজগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রেসনোটে বলা হয়, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে নাজমুল ভার্চ্যুয়াল যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতারণামূলক কৌশল অবলম্বন করে ইতিমধ্যে তিনটি বিয়ে করেছেন বলে স্বীকার করেন। সিরাজগঞ্জের যে স্থান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেখানেও তিনি এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছেন বলে স্বীকার করেন।