পীরগঞ্জে গভীর নলকুপের পাইপ ভেঙ্গে পানি সেচে প্রতিবন্ধকতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৫৩ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
রংপুরের পীরগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একটি গভীর নলকূপের বারিক (গ্যাস) পাইপ ভেঙ্গে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা।
ফলে গভীর নলকুপটির আওতাধীন প্রায় ৩০ একর জমির ইরি ধান উৎপাদনে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের ছিলিমপুর গ্রামে।
অভিযোগে জানা গেছে, ছিলিমপুর গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের পুত্র ওয়াহেদ আলী গত ২০০২ সালে বিআরডিসি কর্তৃক সমবায়ের মাধ্যমে এ গভীর নলকূপটি গ্রহণ পূর্বক তা পরিচালনা করে আসছেন।
বিদ্যুৎ চালিত এ গভীর নলকূপের আওতায় প্রায় দেড় শতাধিক চাষীদের ৫০ একর জমি চাষাবাদ হয়। বছর কয়েক পূর্বে একই গ্রামের মৃত ফজলার রহমানের পুত্র আব্দুর ছালাম উক্ত গভীর নলকূপের নিকটে একটি বিদ্যুৎ চালিত অগভীর নলকূপ স্থাপনের চেষ্টা করে। এতে গভীর নলকূপটি পরিচালনাকারী ওয়াহেদ আলী বাধা প্রদান করলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আব্দুর ছালাম। তার পরেও ছালাম অগভীর নলকুপটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে সেটি সেচ কাজে ব্যবহার করছেন ।
এদিকে গভীর নলকুপ পরিচালনাকারী ওয়াহেদ এর মতে তাকে বিপদে ফেলতে চলতি ইরি-বোবো’র ভরা মৌসুমে আব্দুস ছালাম ও তার লোকজন রাতের অন্ধকারে ওয়াহেদের গভীর নলকূপটির কয়েকটি বারিক (গ্যাস) পাইপ ভেঙ্গে দেয়। এতে পানি সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় ৫দিন ধরে পানি গভীর নলকুপের সেচ দেয়া বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভাবনচূড়া গ্রামের ভূক্তভোগী কৃষক মোক্তার হোসেন বলেন, ভাইরে! ৬ বিঘা জমি আবাদ করেছি, পানি না থাকায় জমি গুলো লালচে বরন ধারণ করেছে। ধানের চারা লাগানোর সময় একবার পানি পেয়েছি কিন্তু আর পানি পাইনি।
ছিলিমপুর গ্রামের কৃষক মনুহার হোসেন আক্ষেপ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার মাত্র ৩ বিঘা জমি, তার মধ্যে ১ বিঘা জমিতে পানি-ই পাইনি, আবাদ করবো কবে?
পশ্চিমপাড়া শাল্টি গ্রামের ফজলুল করিম বলেন, প্রতিহিংসার কারণে বুঝি এবার ইরি-বোরো আবাদ ঘরেই তুলতে পারবো না।