জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব প্রত্যাহারের প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৮ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:২৮ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন বলেই আমরা স্বাধীন একটি রাষ্ট্র পেয়েছি। স্বাধীনতার ঘোষক বীর উত্তম জিয়াউর রহমান শুধু একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না তিনি ছিলেন রণাঙ্গনের বীর সেনানায়ক। সরকারের মাফিয়াতান্ত্রিক চরিত্র আল-জাজিরার মতো বিশ্ব বিখ্যাত একটি চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, কারণ জনগণ মাফিয়া এ সরকারের চেহারা দেখতে পেয়েছে। জনগণকে সরকার তাদের অপকর্মের দিক থেকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা সাজানো মামলায় সরকার দুই বছরের সাজা দিয়েছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, মাঠে বসে আর বক্তব্য হবে না, এবার রাজপথে হবে আমাদের চূড়ান্ত ফয়সালা। শহীদ জিয়ার বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয় চত্বরে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, নিজেদের অপকর্ম, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের ব্যর্থতা ঢাকতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নড়াইল আদালত কর্তৃক মানহানির মিথ্যা, সাজানো ও বানোয়াট মামলায় সাজা প্রদান করেছে। অবিলম্বে জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় বীর উত্তম খেতাব বাতিলের ষড়যন্ত্র বন্ধ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গৃহবন্দি থেকে নিঃশর্ত মুক্তি এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও সাজা বাতিল করা না হলে চট্টগ্রামের নেতাকর্মীরা রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। এ জন্য চট্টগ্রামবাসী প্রস্তুত আছে। দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব মোসতাক আহম্মদ খানের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য আবদুল গাফফার চৌধুরী, জামাল হোসেন, ভিপি মোজ্জাম্মেল, লায়ন হেলাল উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইছহাক চৌধুরী, লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ লোকমান, বোয়ালখালী পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক শহীদুল্লাহ চৌধুরী, সদস্য সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কৃষক দলের আহবায়ক সাইফউদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ শহীদুল আলম শহীদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির ফজলু, বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান আলহাজ মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী, সরোয়ার উদ্দিন, এম কামাল উদ্দিন, শাহজাহান চৌধুরী প্রমুখ।
গাইবান্ধা : সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব প্রত্যাহারের সরকারি হঠকারী ও অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির উদ্যোগে আজ রবিবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় কার্যালয়ের সামনে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন নবী টিটুলের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সেলিম, উপদেষ্টা আলমগীর সাদুল্যা দুদু, ফুলিছড়ি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সাদেকুল ইসলাম নান্নু, গাইবান্ধা শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হানিফ বেলাল, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকছুদার রহমান, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাবুল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম প্রামাণিক, জেলা বিএনপির গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আজাদ মন্ডল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক ভুট্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার জাহেদুন্নবী তিমু, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক হুনান হক্কানী প্রমুখ।
বগুড়া : বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছে। মুক্তিযুদ্ধ মানে জিয়া, গণতন্ত্র মানে জিয়া, জিয়া মানে বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সেক্টর কমান্ডার ছিলেন জিয়াউর রহমান। যিনি মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করলেন, তার খেতাব কেড়ে নেবেন? এ অধিকার সরকার বা কারোরই নেই। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে এ খেতাব দেয়া হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য। তৎকালীন সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য দিয়েছে। এই খেতাব বাতিল করার অধিকার যদি সরকারের থাকে, তাহলে নতুন করে বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম খেতাব দিন। যেহেতু এটা দেয়ার এখতিয়ার নেই, সুতরাং কেড়ে নেয়ারও অধিকার নেই। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে গতকাল রবিবার সকালে বগুড়া জেলা বিএনপির আয়োজিত দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল বারী তালুকদার বেলালের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কেএম খায়রুল বাশারের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন চাঁন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আহসানুল তৈয়ব জাকির, এম আর ইসলাম স্বাধীন, তৌহিদুল আলম মামুন, সহিদ উন নবী সালাম, মনিরুজ্জামান মনির, শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল হাকিম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আলহাজ আকরাম হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম রাসেল মামুন, কাহালু উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নেছার উদ্দিন, গাবতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ হোসেন, বিএনপি নেতা আলী হায়দার তোতা, জেলা মহিলা দলের নেত্রী নাজমা আক্তার, জেলা যুবদল নেতা আহসান হাবিব মমি, আদিল সাহারিয়া গরকী, ছাত্রদলনেতা বাঁধন, সন্ধান, লিসানসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
গাজীপুর : সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রবিবার গাজীপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে জেলা শহরের রাজবাড়ী সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল। জেলা বিএনপি নেতা শাহজাহান ফকিরের সভাপতিত্বে ও সাখাওয়াত হোসেন সবুজের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি নেতা পৌর মেয়র মোঃ মজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা, সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, খলিলুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান, নাহীন আহমেদ মমতাজী, যুবদল নেতা অ্যাড. রফিকুল ইসলাম রফিক, মজিবুর রহমান প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, আল-জাজিরার রিপোর্টকে ধামাচাপা দিতে সরকার মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘বীর উত্তম’ কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। বক্তারা অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান।
জামালপুর : ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেছেন, স্বাধীনতার অপর নাম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এই জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব এ সরকার দেয়নি। এই পদক স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের মানুষ তাকে ভালোবেসে দিয়েছে। এই সরকার যদি জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করে তাহলে আমরা আমাদের জীবন বাজি রেখে এবং শরীরের তাজা রক্ত রাজপথে ঢেলে দিয়ে এক দফার সরকার পতনের আন্দোলনে নামবো। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে জেলা বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেছেন।
আজ রবিবার শহরের স্টেশন রোডে জেলা বিএনপি অফিসের সামনের রাস্তায় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক খান দুলাল, খন্দকার আহসানুজ্জামান রুমেল, রিজভী আল জামালী রনজু, সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান আহমেদ লোটন, শফিকুল ইসলাম খান সজিব, দফতর সম্পাদক গোলাম রব্বানী, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব রুহুল আমিন মিলন, শহর বিএনপির সদস্য সচিব শাহ্ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল রানা খান ও জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আব্দুল হালিম প্রমুখ।
ঝিনাইদহ : শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীর-উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে শহরের এইচএসএস সড়কের জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে দলটির জেলা শাখা। এতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. এস এম মশিউর রহমান, সদস্য সচিব অ্যাড. এম এ মজিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুজ্জামান মনা, আক্তারুজ্জামান, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ বিশ্বাসসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। বিএনপি নেতারা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একটি ইতিহাসের নাম। এই নাম বাতিল বা মুছে ফেলার শক্তি কারো নেই। জিয়া একটি জেড ফোর্সের নেতৃত্ব দিয়েছেন। পাক সরকারের সেনা কর্মকর্তা হিসেবে তিনিই একমাত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সেদিন তিনি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে “আমি মেজর জিয়া বলছি” স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বিচ্ছিন্ন জাতিকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা দিয়েছিলেন। বীর-উত্তম খেতাব জিয়াউর রহমানকে মুখ দেখে দেয়া হয়নি। বক্তারা ঢাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানান।
রংপুর : স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে জানান, জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের খেতাব বাতিলের ষড়যন্ত্র প্রাণের বিনিময়ে হলেও আমরা রক্ষা করব। আজ রবিবার রংপুরে জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে আজ সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর পায়রা চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। স্থানীয় জাহাজ কোম্পানির মোড়ে পুলিশ মিছিলটির গতিরোধ করে। এ সময় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে সামনে ও পিছনে পুলিশ পাহারায় মিছিলটি গ্র্যান্ড হোটেল মোড় দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশ চলাকালে সেখানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও জলকামানের সাজোয়া যান মোতায়েন ছিল। এছাড়া গতকাল নগরীর বিভিন্ন মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইদা রহমান জোস্না, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রইচ আহম্মেদ, সহ-সভাপতি অধ্যাপক পরিতোষ চক্রবর্তী, আফছার আলী, রন্টু, যুগ্ম সম্পাদক শাহান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা, ফজলুর রহমান বাদল, জেলা যুবদল সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম ঝন্টু, জেলা ছাত্রদল সভাপতি মনিরুজ্জামান হিজবুল প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, এই সরকার তাঁবেদারি রাজ্য কায়েমের জন্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চায়। কারণ জিয়া মহান স্বাধীনতার ঘোষক। ২৬ মার্চে চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে তার ঘোষণায় জাতি পেয়েছিল দিকনির্দেশনা। ঘোষণা দিয়ে তিনি ক্ষান্ত ছিলেন না। তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলের হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে। তাই স্বাধীনতা যুদ্ধে অসাধারণ অবদানের জন্য জাতি তাকে এ খেতাব প্রদান করে। ক্ষমতা জবরদখলকারী এই অবৈধ সরকার সেই খেতাব কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক জনগণ তাদের সব ষড়যন্ত্র প্রাণের বিনিময়ে হলেও রুখে দিবে।
ফরিদপুর : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মহান মুক্তিযুদ্ধের ‘বীরউত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ফরিদপুরে মিছিল এবং সমাবেশ করেছে শহর ও কোতোয়ালি বিএনপি।
আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের কোর্টচত্বর এলাকায় মিছিল শুরু হয় হলে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়, এক পর্যায়ে স্বাধীনতা চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবশের মাধ্যমে সভা শেষ হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে এম কিবরিয়া স্বপন, মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজীর আহমেদ তাবরীজ, সাধারণ সম্পাদক আলী রেজোয়ান বিশ্বাস তরুণ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আশরাফ নান্নু, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মিরাজ, কোতোয়ালি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান চৌধুরী রঞ্জন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান কায়েস, ইশতিয়াক রশিদ, হাবিবুর রিমু, জিতু খান, অনিক প্রমুখ।
ময়মনসিংহ : আল-জাজিরার প্রতিবেদন জনগণের দৃষ্টি থেকে আড়াল করতে স্বৈরাচার সরকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
আজ রবিবার দুপুর সোয়া ১২টায় ময়মনসিংহ নগরীর নতুন বাজারস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ‘বীরউত্তম’ কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের ‘বীরউত্তম’ খেতাব কেড়ে নিলে সরকারের গদি কেড়ে নেবে দেশের জনগণ। অচিরেই সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। ইনশাল্লাহ এ বছরই গণতন্ত্রের সূর্য উদিত হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ জিয়ার অবদান দেশের জনগণ জানেন। তিনি মহান স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার। একজন সম্মুখসমরের বীর মুক্তিযোদ্ধা। এই মহান নেতার খেতাব কেড়ে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা হবে না। দেশের জনগণ সরকারের এ ষড়যন্ত্রে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছে। রাজপথেই এর কঠোর জবাব দেয়া হবে।
এ সময় দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. মাহাবুবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু, আলমগীর মাহমুদ আলম, ডা. রানা, শুকুর মাহমুদ ববি, বিএনপি নেতা হেলাল আহম্মেদ, দক্ষিণ জেলা যুবদল সভাপতি রুকনুজ্জামান সরকার রুকন, সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম রাজু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শহীদুল আমীন খসরু, সাধারণ সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম টুটুল, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাপস সরকার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানাসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
তারাকান্দা : ময়মনসিংহের তারাকান্দায় মহান স্বাধীনতার ঘোষক, প্রথম সেক্টর ও ফোর্সের কমান্ডার, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের ‘বীরউত্তম’ খেতাব প্রত্যাহারের হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির উদ্যোগে আজ রবিবার দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদারের নেতৃত্বে উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উত্তর বাজারস্থ দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) সৈয়দ এমরান সালেহ্ প্রিন্স। আরও বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, তারাকান্দা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম তালুকদার, ইয়াসিন আলী মেম্বার, মোখলেছুর রহমান মুকুল, সাজেদুল করিম খোকন, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাদিম সারোয়ার টিটু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন, তারাকান্দা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রাসেল মন্ডল, আজাহারুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা আলমগীর হোসেন রকি, জুয়েল মিয়া, মাজেদুল, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা ছায়াদুল হক মন্ডল, ফজলুল হক, আমির হাসান স্বপন, জহিরুল হক (আল আমিন), কাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
কুড়িগ্রাম : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীরউত্তম খেতাব বাতিলের জামুকা’র ঘোষণার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি। আজ রবিবার সকালে কুড়িগ্রাম দাদামোড়স্থ দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন নেতাকর্মীরা।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জহুরুল আলমের সভাপতিতে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক রুবেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, সহ- সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, সহ-সাধারণ সম্পাদক, মোসলেম উদ্দিন মোল্লা দুলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম লেবু, জামিল আহমেদ, গণশিক্ষা সম্পাদক আব্দুল ওহাব, হেদায়েত হোসেন এলিচ, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক আব্দুর রহমান, জিয়া পরিষদ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পুতুল, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রফিক রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম, জেলা যুবদল সভাপতি রায়হান কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রজব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আবু দারদা হেলাল, সাধারণ সম্পাদক আল হামিদুজ্জামান হামিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আমিমুল ইহসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাওন, সোহেল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আরমানসহ জেলা বিএনপি ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ। এ সময় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৫০ বছর আগে জিয়াউর রহমানকে যে বীরউত্তম খেতাব দেয়া হয়েছে তা বাতিলের মাধ্যমে সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ভূলুন্ঠিত করতে চায়। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করার আহবান জানান বক্তারা।
নারায়ণগঞ্জ : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীরউত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জেলা বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে পুলিশ বাধা দিলেও সেই বাধা উপেক্ষা করেই কর্মসূচি পালন করেছেন নেতাকর্মীরা। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে জেলা বিএনপির সদস্য মাসুকুল ইসলাম রাজীবের নেতৃত্বে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আজকে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য এবং দেশকে ধ্বংস করার জন্য বিদেশি গোয়েন্দা ও কুচক্রীমহলের চক্রান্তে শহীদ জিয়াউর রহমানের খেতাব ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, যারা এই দেশ স্বাধীন করলেন তারাই আজ এদেশে অপমান অপদস্ত হতে চলেছেন। শহীদ জিয়াউর রহমানকে দেশবাসী জানে বিশ্ববাসী জানে। জিয়াউর রহমানকে এই বীরউত্তম খেতাব কে দিয়েছিল। সেই সময়কার আ’লীগ সরকারই দিয়েছিল। সেই সময়কার রাষ্ট্রপ্রধানের স্বাক্ষরে জিয়াউর রহমানকে বীরউত্তম খেতাব দেয়া হয়েছে। তারা যদি ভুল করে থাকে তাহলে তাদেরই বিচার হওয়া উচিত যারা খেতাব দিয়েছিল। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবদলের সভপতি ও নাসিক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।
নীলফামারী : নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বীরউত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নীলফামারীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি।
আজ রবিবার সকালে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশি বাধার মুখে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার, সাধারণ সম্পাদক কাজী আকতারুজ্জামান জুয়েল, পৌর যুবদলের আহবায়ক হাসানুজ্জামান তৌহিদ, ছাত্রদলের সাবেক নেতা আব্দুস সালাম বাবলা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আযম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মারুফ পারভেজ প্রিন্স।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম দোলন, পৌর বিএনপির সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মেসবাহুল ইসলাম শাহ্ টুলু, জেলা জাসাসের আহবায়ক বাচ্চু প্রধান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক হোসেনসহ জেলা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী। এতে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোখলেছুর রহমান কাজল।
পাবনা : আজ রবিবার দুপুরে পাবনা জেলা বিএনপির অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পাবনা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পাবনা শহরের ট্রাফিক মোড় ও দলীয় কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পাবনা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মান্নান মাস্টারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান তোতা, পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টু, পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি একেএম মুসা, পূর্ণিমা ইসলাম, হাজারী জাকির হোসেন চুন্নু, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনিসুল হক বাবু, আবুবকর সিদিক মকু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি ও জেলা যুব দলের সভাপতি মোসাব্বির হোসেন সন্জু, জেলা বিএনপির সাবেক দফতর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হিমেল রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আরিফ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, যুবদলের মোবারক হোসেন বাবু শাহিন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কারুজ্জামান প্রিন্স, সিনিয়র সহ-সভাপতি কমল শেখ টিটুৃ, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আজম প্রাং, কৃষক দলের মোকারম সরদার, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা শামীম আরা মুন্নি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহানা পারভীন প্রমুখ। এছাড়া বিএনপির সিনিয়র নেতারা, পাবনা সদর উপজেলা বিএনপি, পাবনা সদর পৌর বিএনপি, জেলা যুবদল, জেলা ছাত্রদল, জেলা মহিলা দল, জেলা ম্যস্যজীবী দল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, বিজ্ঞান প্রযুক্তি ছাত্রদল, এডওয়ার্ড কলেজ ছাত্রদল ও পাবনা সদর উপজেলা ও পৌর যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছসেবক দলসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী।
পটুয়াখালী: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) প্রতিষ্ঠাতা, সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের " বীর উত্তম" খেতাব বাতিল প্রস্তাবের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে পটুয়াখালী জেলা বিএনপি। রবিবার সকাল ১০ টায় পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আবদুর রশিদ চুন্নু মিয়ার সভাপতিত্বে জেলা শহরের বনানীস্থ যুবদল কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ করা হয়। এ সময় জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি, অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব শাহজাহান খান, সাবেক পৌর মেয়র মোস্তাক আহমেদ পিনু ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদারবক্স হল শাখা ছাত্রদলের সাবেক ভিপি ও দুমকি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক বাহা উদ্দিন বাহার প্রমূখ। এ সময় জেলা বিএনপির সদস্য কাজী মাহবুব আলম, মজিবুর রহমান টোটন, যুবদলের সহ-সভাপতি রিমানুল ইসলাম রিমু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শফিউল বশার উজ্জ্বল সহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল এবং বিভিন্ন অংগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
পাবনাঃ (আইনজীবি ফোরাম) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক প্রেসিডেন্ট, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জেড ফোর্সের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ জিয়াউর রহমানের বীরউত্তম খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে পাবনায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, পাবনা জেলা শাখা।
আজ রবিবার দুপুরে জেলা বারের সামনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা সভাপতি এড. আরশেদ আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড. মাসুদ খন্দকারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সরকারকে এই অবৈধ অনৈতিক সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবি জানান।
এসময় বক্তারা বলেন, শহীদ জিয়ার খেতাব বাতিলের এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীদের অপমান করছে। মূলত কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরায় আওয়ামী সরকারের দুর্নীতি, খুনিদের লালন-পালন ও অপশাসন নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা থেকে দেশের মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটা মানুষ আজকে বুঝতে পেরেছে। কিন্তু সরকার জানে না এমন একটি অনুভূতির জায়গাতে সরকার হাত দিয়েছে যে, দেশের মানুষ এই সিদ্ধান্ত বাতিলের আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করে প্রয়োজনে সরকারকে বিদায় করার চূড়ান্ত আন্দোলন গড়ে তুলবে। মহান মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে দেশে অনেক অন্যায় করেছে তারা। এবার জনগণ তাদের রুখে দেবে। সরকার এখন অবধি আল-জাজিরার প্রচারের বিরুদ্ধে নিজেদের সপক্ষে কোনো ধরনের প্রমাণ তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। আর এ কারণেই অবৈধ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নিতেই জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের মতো একটা বেকুপের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সর্বআইনজীবী আলহাজ মির্জা আজিজুর রহমান, শাহজাহান আলী, সাইফুল ইসলাম সিরাজী, আইনুল হক, শামসুর রহমান, আলহাজ আব্দুল আজিজ, আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু, মকবুল হোসেন বিশ্বাস, ইসমাইল হোসেন টিপু, শরিফুল ইসলাম সেলিম, আব্দুল আওয়াল প্রামাণিক, আশরাফুজ্জামান হালিম, রফিকুল ইসলাম আলতাব, বোরহান উদ্দিন, এনামুল হক, মাসুদ আলম লিটন, রেজাউল করিম সালাম, মতিউর রহমান বাহেজ, রাজিউল্লাহ রনজু, এনামুল হক, রেজাউল করিম ছালাম, ফোরকান আলী, আবুল হাসেম, সাইদুর রহমান, শরিফুল ইসলাম প্রামাণিক, নীলা খাতুন, মনিরুজ্জামান মিজান, সাখওয়াত হোসেন সোহেল, মাকসুদুর রহমান রানা প্রমুখ। বক্তারা বলেন, জিয়াউর রহমানের এই খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হওয়া অবধি আইনজীবী ফোরামের এই আন্দোলন চলতে থাকবে।