কুমিল্লা দক্ষিনাঞ্চলে আমের মুকুলে মৌ মৌ গন্ধে বসন্তের সাজে সেজেছে প্রকৃতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৭ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:২৮ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
কুমিল্লার দক্ষিনাঞ্চলের লাকসাম, বরুড়া, লালমাই, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র জলবায়ু পরিবর্তন সহ নানা কারনে প্রকৃতিতে শীতের প্রকোপ কমে যাওযায় বসন্তের আগমনে আগে ভাগেই মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলের সকল আমগাছগুলো। থোকা থোকা মুকুলের ভারে ঝুলে পড়েছে আমগাছের ডালপালা। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বসন্তের নান্দনিক সাজে সেজেছে যেন আম গাছগুলো।
এ দিকে বসন্তের সোনালী হলুদ রংয়ের আমের মুকুলের মনকাড়া সুগন্ধ, মৌমাছিরা দলে দলে ঘুরে বেড়াচ্ছে গুন গুন শব্দে মুকুলের উপর। ছোট ছোট পোকা-মাকড় ও পাখিরাও মুকুলে বসে মনের আনন্দে স্বাধ নিচ্ছে। এমন দৃশ্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে আম গাছে। এ যেন এক অপরূপ প্রকৃতি।
গাছগুলোতে মুকুলের সঙ্গে গুটি গুটি আমের দেখাও মিলছে। রাতের ঘন কুয়াশা আর শিলা বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেলে এবছর আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাক নাশক ঔষধ প্রয়োগসহ গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন আমগাছ মালিকদের কেউ কেউ।
অপরদিকে জেলা দক্ষিনাঞ্চলের একাধিক আমের গাছের মালিক জানায়, এ অঞ্চলের অধিকাংশ গাছেই ইতিমধ্যে মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে। তবে এবার ঘন কুয়াশা আর শিলা বৃষ্টি না হওয়ায় গাছে গাছে মুকুলে ভরে উঠে এবং আগামী দিনগুলো প্রকৃতির উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে। প্রাকৃতিক কারনে এবার অতীত সময়ের চেয়ে আগেভাগেই আম গাছে মুকুল এসেছে। গাছে গাছে অজস্ত্র মুকুল দেখে এবার বাম্পার ফলনের আসা করা যাচ্ছে। সর্বত্রই আমগাছগুলো তার মুকুল নিয়ে হলুদে রং ধারণ করে সেজেছে যেন এক অপরূপ সাজে।
জেলা- উপজেলা কৃষি বিভাগ ও স্থানীয় পরিবেশবীদদের একাধিক সূত্র জানায়, আম গাছে মুকুল আসার আগে কিংবা পরে যেমন আবহাওয়ার প্রয়োজন এ বছর কিন্তু এখন তা বিরাজ করছে। মুকুলের এ সময় প্রধান শত্রু কুয়াশা আর শিলা বৃষ্টি।
এবার জেলা দক্ষিনাঞ্চলের কয়েক লাখ আম গাছে মুকুল ধরেছে। তবে বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকূলে থাকলে চলমান বছরে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।