রাঙামাটিতে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় ১ শিক্ষার্থী নিহত, আহত ৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪৩ পিএম, ২৯ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪ | আপডেট: ০৩:১৮ পিএম, ৫ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
পার্বত্য রাঙামাটিতে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থী নিহত ও অন্তত ৩২ জন আহত হয়েছে। জেলার রাজস্থলী উপজেলাধীন বাঙ্গালহালিয়া এবং রাঙামাটি শহরের প্রবেশমুখ মানিকছড়িতে শুক্রবার সকালে পৃথকভাবে এই দূর্ঘটনা সংঘটিত হয়।
আজ শুক্রবার সকালে চন্দ্রঘোনা-বাঙালহালিয়া সড়কের রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের পুলিশ ক্যাম্প সড়ক সংলগ্ন ডাকবাংলা পাড়া এলাকায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় হতে আসা পর্যটকবাহী বাস ও যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ১ শিক্ষার্থী নিহত এবং ৫ জন আহত হয়েছে।
নিহত শিক্ষার্থী পাইমে মারমা অটোরিক্সার যাত্রী ছিলো। সে বান্দরবান জেলার সদর উপজেলার বালাঘাটা ঘোয়াইংগ্যা পাড়ার ক্য চিং নু মারমার মেয়ে। তিনি চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাঙ্গুনিয়া কলেজে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাডি সেন্টারে অধ্যয়নরত আছেন বলে জানা গেছে তার ব্যবহৃত ব্যাগ হতে আইডি কার্ড সনাক্ত করে।
এদিকে এই ঘটনায় আহত ৪ জন যাত্রী এবং সিএনজি চালককে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় তাদের পরিচয় সনাক্ত করা যায় নাই। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১১ টা ৪৫ মিনিটের দিকে এই দূর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন,চন্দ্রঘোনা থানার ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল।
অপরদিকে, শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে রাঙ্গুনিয়া থেকে রাজবনবিহারে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসার পথে মানিকছড়ি মুন্সি আব্দুর রউফ চত্বর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহি বাস উল্টে অন্তত ২৭ জন আহত হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
স্থানীয়রা জানান, ৪০ জনের একটি বাসে করে সকালে রাঙ্গুনিয়া থেকে রাঙামাটি রাজবনবিহারে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আসছিলেন। এমন সময় মানিকছড়ি নামক স্থানে বাসটি নিয়ন্ত্রণে হারিয়ে উল্টে যায়।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ শওকত আকবর খান জানিয়েছেন, বাস দূর্ঘটনায় আহত ২৭ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে ১১জন ভর্তি এবং ১৬জন আউটডোরে চিকিৎসা গ্রহণ করে। পুস্পিতা বড়–য়া নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম রেফার্ড করা হয়েছে।
বেলা তিনটার সময় সর্বশেষ তথ্যানুসারে আহত ভর্তিদের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে চলে গেছেন।