বিআরটিএ’র ‘দালালদের ধরতে’ কাদেরের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১২ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:০৮ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)’র দালালদের ধরতে ম্যাজিস্ট্রেট, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, গুটিকয়েক অনিয়মকারীর জন্য পুরো প্রতিষ্ঠানের বদনাম হতে পারে না। বিআরটিএ’র সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে। বিভিন্ন যানবাহন সেবায় গতি আনা এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহক ভোগান্তি কমাতে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কাজ করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভায় যুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান শুরু করা হবে। ইতিমধ্যেই লাইসেন্সের খসড়া প্রিন্ট শুরু হয়েছে। কার্ডের মান এবং প্রিন্ট কোয়ালিটি চুক্তি অনুযায়ী হতে হবে। গুণগতমান এবং স্মার্টকার্ডের বৈশিষ্ট্যে যা যা থাকার কথা তার কোনোটির সাথেই আপস করা যাবে না। তিনি বলেন, এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে। আর যেন না হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে মনিটর করতে হবে। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে দ্রুত কার্ড সংগ্রহ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে গতি ফিরিয়ে আনতে হবে এবং মানুষের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে হবে।
সড়কমন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট সকলকে অনিয়মের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে সেবামুখি হতে হবে। বিআরটিএ’তে দালাল ধরতে ম্যাজিস্ট্রেটদের আরও তৎপর হতে হবে। বিআরটিএ’কে সত্যিকার অর্থে সেবামুখি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এখনও দালালদের দৌরাত্ম্য আছে। অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে বাইরের সুবিধাভোগীদের সখ্য গড়ে উঠেছে এ চক্র। বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানকে শক্ত হাতে এসব অনিয়মের চক্র ও দালালের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিআরটিএতে তদবির বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। যেসব কর্মকর্তা এসবের সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, যানবাহনে ফিটনেস গ্রহণের বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে সেবা সহজীকরণ এবং গ্রাহকদের সুবিধার্থে দেশের যে কোনো সার্কেল অফিস হতে যানবাহনের ফিটনেস সনদ নেয়া যাচ্ছে। আগে ফিটনেস দেয়া হতো এক বছরের জন্য, এখন দেয়া হবে দুই বছরের জন্য। সেতুমন্ত্রী বলেন, সরাসরি ব্যাংকে না গিয়ে ঘরে বসেই ১৮টি ব্যাংকর চার শ’র বেশি শাখা এবং বুথে মোটরযানের বিভিন্ন ফি জমা দিতে পারছে গ্রাহকগণ। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা এখনও হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এখন মূল লক্ষ্যই হতে হবে সড়কে দুর্ঘটনা কমানো। এই বিষয়ে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।