নগরপিতা নয় সেবক হিসেবে পাশে থাকতে চান ডা. শাহাদাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২০ পিএম, ৫ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ১২:৩০ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
নগরপিতা নয় নিজেকে সেবক বলে নিজের পরিচয় দিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। সেবক হয়ে কাজ করার আকাঙ্খা জানিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
মেয়র শাহাদাত আরো বলেন, আমি আপনাদেরই সন্তান। এই শহরটা শুধু আমার একার শহর নয়। এই শহর আমাদের সবার। আসুন, আমরা সবাই মিলে একযোগে একটি সুন্দর শহর গড়ে তুলি। এ শহর হবে ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি ও হেলদি সিটি। আমাকে একটু সময় দিন। ইনশাআল্লাহ, অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। আপনারা সবসময় আমার হৃদয়ের গভীরে আছেন।
আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরের পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বেলা ১২টার দিকে সোনার বাংলা ট্রেনে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।প্রথমে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে থাকে ফুলদিয়ে বরণ করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। এপর নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে স্লোগানে স্লোগানে অভিবাদন জানিয়ে পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনে আয়োজিত সংবর্ধনা মঞ্চে নিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, আমি ৭০ লক্ষ মানুষের নগরপিতা হিসেবে নয়, নগরসেবক হিসেবে আপনাদের কাছে থাকতে চাই। এই ৭০ লক্ষ মানুষের মধ্যে সকল ধর্মের, বর্ণের, ভাষার নাগরিক এই চট্টগ্রাম শহরে আছে। আমি ইনশাআল্লাহ তাদের পাশে থেকে সেবক হিসেবে কাজ করে যতে চাই। আমি আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, , গত ১৮টি বছর আপনারা ঘরে থাকতে পারেননি। আপনাদের পরিবারের খোঁজ নেওয়ার মানুষ ছিল না। আপনাদের পরিবারের বাজার করার টাকা ছিল না। অর্ধহারে-অনাহারে দিন কাটিয়েছেন। এ অসহায়ত্ব আমি দেখেছি ভাইয়েরা-বোনেরা। আপনাদের এই ঋণ আমি শোধ করতে পারবো না। সারাদেশে অসংখ্য মানুষ বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন। নির্যাতন-মামলার শিকার হয়েছে। চট্টগ্রামসহ সারা দেশের এক লাখ মামলায় ৬০ লাখ আসামি। কিন্তু তারপরও আপনারা আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি।
পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনে নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে মেয়র হজরত শাহ আমানত (র.) ও বদর আউলিয়া (র.) মাজার জিয়ারত, মতবিনিময়, সংবাদ সম্মেলন এবং টাইগারপাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেবেন।
এ দিকে নতুন সিটি মেয়র দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পার করছেন ব্যস্ত সময়।কার্যালয়ের প্রবেশপথে তোরণ। অফিস কক্ষের বাইরে নামফলক। ভেতরে নতুন চেয়ার, কম্পিউটার। বার্নিশের পর সাজানো পরিপাটি আসবাবপত্র। সারানো হয়েছে পিচঢালা ক্ষতবিক্ষত সড়কের বুক। সবমিলিয়ে নতুন মেয়রকে বরণে একেবারে প্রস্তুত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।ভবনের দোতলায় মেয়রের কক্ষের বাইরে সাবেক প্রশাসকের নামফলক তুলে লাগানো হয়েছে নতুন মেয়রের নাম। বার্নিশ শুকানোর পর ঝকঝক করছে মেয়রের কক্ষে রাখা অপেক্ষমান অতিথিদের সোফা-টেবিল। মেঝেতে বিছানো হয়েছে নতুন ফ্লোরমেট। মেয়রের জন্য আনা নতুন চেয়ার ‘প্রথা’ অনুযায়ী ঢেকে রাখা হয়েছে তোয়ালে দিয়ে। চেয়ারের বাম পাশে বসানো নতুন কম্পিউটার। কিছুটা বাহ্যিক পরিবর্তন আনা হয়েছে ফুলের টবসহ ইন্টেরিয়র ডিজাইনে। সড়কে নেতাকর্মীদের পোস্টার সাঁটানো হয়েছে আগেভাগেই।
দিনকাল/এমএইচআর