রংপুরে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমাবেশ
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে জনগনকে নিয়ে আমরা বর্তমান সরকারকে চাপ অবাহত রাখবো : হাসনাত কাইয়ুম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০২ পিএম, ১ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪ | আপডেট: ১১:২৯ পিএম, ১৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেছেন, জরুরী ভিত্তিতে দ্রব্যমূল্য মোকাবেলা, আইনশৃঙখলার উন্নতিসহ সকল রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের ঐক্যমতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কারের রুপরেখা প্রকাশ করে অন্তর্বতিকালীন সরকারকে কাজ করার লিখিত প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম, কিন্ত তার প্রতিফলন দেখছি নি। একারণে ২৪ এর আকাঙখা বাস্তবায়নও হচ্ছে না। আমরা জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের আকাঙখা বাস্তবায়নে জনগনকে নিয়ে বর্তমান সরকারকে চাপ অবাহত রাখবো।
আজ শুক্রবার রংপুর নগরীতে রংপুর জেলা শাখার আয়োজনে রাষ্ট্র সংস্কার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
জেলা সভাপতি অধ্যাপক চিনু সরকারের সভাপতিত্বে এবং ন্যায়পাল এ্যডভোকেট রায়হান কবীরের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- লেখক নাহিদ হাসান নলেজ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান খান, জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য ফরিদুল ইসলাম, ছামিউল আলম রাসু, কনক রহমান, রাষ্ট্র সংস্কার যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক মাশকুর রাতুল, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক আহমেদ ইসহাকসহ জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আমরা মনে করি নির্বাচন, সংসদ বিচার বিভাগ, আইনশৃঙখলা রক্ষাকারী বিভাগ, স্বানীয় সরকার, অর্থনৈতিক আইন কানুন, জনগনের মৌলিক অধিকার, সংবিধানের ক্ষমতা কাঠামো সংস্কার করার উদ্যোগ নিলে বাকি সংস্কারগুলো সহজ হবে।
হাসনাত বলেন, আমরা অন্তর্ববর্তীকালীন সরকারের ডাকে সারা দিয়ে তাদের কাছে লিখিত পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম জরুরী ভিত্তিতে দুব্যমূল্য মোকাবেলা করতে হবে। তাদের মুল দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্টের সংস্কার করার কথা বলেছিলাম। বিশেষজ্ঞ কমিটি বানানোর কথা বলেছিলাম। কয়েকটা কমিটি ওনারা বানিয়েছেন। আমরা ১২ টা টাস্কফোর্স করার কথা বলেছিলাম। সকল রাজনৈতিক দল এবং দলের বাইরে যত সংগঠন আছে সবার সাথে আলাপ আলোচনা করে, মতামত নিয়ে সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কারের রুপ রেখা প্রকাশ করার কথা বলেছিলাম এবং এই অংশটুকু বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়ার দাবি করেছিলাম। কিন্তু এখনও এর কোন প্রতিফলন দেখছি না।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবি বাস্তবায়নে তাদের চাপ দিতে চাই। সেই জন্য সারাদেশে আমাদের ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছি। সকল দলের, সকল সংগঠনের সাথে কথা বলছি। যেন এই সরকার পথ ভুলে না যায়। আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করতে চাই এজন্যই। কারণ বাংলাদেশের মানুষের যে রক্ত দেয়া, যে কষ্ট তাদের। সরকার যেন সেটা বিফল যেতে না দেয়।’
হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘আমরা এই সরকারকে একদিকে সহযোগিতা করতে চাই। অন্যদিকে জনতার যে আকাঙখা তা বাস্তবায়নে জনগনকে সাথে নিয়ে সরকারের ওপর চাপ দিতে চাই। এই উদ্যোগ আমরা রংপুর, চট্রগাম, রাজশাহীতে সামবেশ করেছি। সারাদেশে আমরা করবো। জনগনকে সংগঠিত করবো এবং সরকারকে আকাঙখা বাস্তবায়নের কাজ শুরুর জন্য চাপ দিতে থাকবো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন সংস্কারের কথা বলতাম। তখন কেউ একথা বলে নাই। আজকে সারা বাংলাদেশ সংস্কারের কথা বলতেছে। সবাই সংস্কারের সাথে একমত। আমরা সাত দফার কথা বলছি। অনেকেই সাত দফাকে ভেঙ্গে কেউ ৪০ দফা, কেউ ১০ দফা বরছে। আমরা মনে করি আমাদের ৭ দফার সাথে জনগন এবং রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতে আসবে। আমরা যেমন লিখিত দিয়েছি। অন্যরা লিখিত দিলেই বিষয়টি স্পস্ট হবে।
দিনকাল/এমএইচআর