খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ'র সকাল-সন্ধ্যার অবরোধ পালিতো
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩৯ পিএম, ৩১ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৭:২৬ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
তিন কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং দৃস্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে খাগড়াছড়িতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)'র সকাল-সন্ধ্যার অবরোধ পালিত হয়েছে।
আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর ২০২৪) খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার এ হত্যার প্রতিবাদে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ ঘোষনা করে। ফলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অবরোধ পালন করা হয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, গুইমারা, রামগড়সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে আগুণ দেয় পিকেটাররা। এছাড়া সড়কে গাছ কেটে রাস্তা অবরোধ করে অবরোধকারীরা।
অবরোধ চলাকালে খাগড়াছড়ি থেকে দুরপাল্লার কোন যানবাহন ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। তবে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে স্বল্প পরিসরে ব্যাটারী চালিত টমটম চলাচল করছে।
সব ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণপয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশসহ আইন- শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। এছাড়া বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারী। এই রির্পোট লেখার আগপর্যন্ত বড়ধরনের কোনো অপৃতিকর ঘটনা ও নতুন কোনো কর্মসূচির ঘোষণা দেয়নি।
উল্লেখ্য, প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ইউপিডিএফের তিন কর্মীর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে স্বজনদের নিকট নিহতদের মরদেহ বুঝিয়ে দেয়া হয়। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
এ ব্যাপারে নিহত মন্যা চাকমা সিজনের সহধর্মিনী লীলা মোহন কার্বারী পাড়ার টুপি চাকমা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে পানছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মন্যা চাকমা সিজন, পরান্টু চাকমা জয়েন ও খরকসেন ত্রিপুরা শাসনকে গুলি করে হত্যা করে বলে এজাহারে উল্লেখ করেন। পানছড়ি থানার ওসি মো. জসীম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দিনকাল/এসএস