আড়াই বছর পর শ্রীমঙ্গলে কবর থেকে লাশ উত্তোলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৪ পিএম, ৯ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৩১ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আড়াই বছর পর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাস্টার গোলাম মোস্তফা রাজা মিয়ার মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য উপজেলার মতিগঞ্জ এলাকাধীন হাইল হাওরে অবস্থিত 'রাজা ফিশারিজ এন্ড হ্যাচারী কমপ্লেক্স'র পারিবারিক কবরস্থান থেকে প্রতিষ্ঠানের সাবেক স্বত্বাধিকারী মৃত মাস্টার গোলাম মোস্তফা রাজা মিয়ার মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা খানম লাশ উত্তোলন কার্যক্রম তদারকি করেন।
এসময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলমগীর ও শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশের সদস্য ও বিপুল সংখ্যাক উৎসুক জনতা উপস্থিত ছিলেন।
এসআই আলমগীর জানান, রাজা মিয়ার ছেলে গোলাম মুরসালিন রাজার একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজার জেলার বিজ্ঞ আদালত মৃতদেহ উত্তোলন করে পোস্টমর্টেম করার নির্দেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, রাজা মিয়ার বিপুল সম্পত্তির লোভে দ্বিতীয় স্ত্রী নূরজাহান রানী রাজা মিয়াকে বালিশ চাপা, বিষ প্রয়োগ কিংবা অন্য কোন উপায়ে হত্যা করা হতে পারে। এতে মৃতদেহ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করার প্রার্থণা করা হয়।
গত ১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজা মিয়া মৃত্যুবরণ করেন। এসময় তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে বসবাস করতেন। রাজা মিয়ার মৃত্যুর পর থেকে দুই স্ত্রীর পক্ষের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে চরম বিরোধ দেখা দেয়। এর এক পর্যায়ে গেল বছরের ২৬ আগস্ট বাবার এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক মেনে না নিয়ে প্রথম পক্ষের ছেলে গোলাম মুরসালিন রাজা তার সৎ মা নূরজাহান বেগমকে প্রধান আসামি ও তার ভাই দেওয়ান আলামিন রাজা, দেওয়ান সেলিম, দেওয়ান জান্নাতুল ফেরদৌস লিখন ও নাছির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা আরো বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।