

সিরাজগঞ্জে দূর্ঘটনায় মা পুত্র-কন্যার মৃত্যু: প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৭ পিএম, ৯ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫৬ এএম, ৪ জুলাই,সোমবার,২০২২

সিরাজগঞ্জে বাস-ট্রাকের মাঝে চাপা পড়ে পুত্র-কন্যাসহ শিক্ষিকা ইফরাত সুলতানা রুনীর মর্মান্তিক মৃত্যু বিচারের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শহরের বাজার স্টেশন মুক্তির সোপান এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার সদর উপজেলার আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি শিক্ষক সমিতি সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি উদয় কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাকিবুল হাসান ভুঞা, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি সমাজ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি অশীষ কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক কে.এম ছানোয়ার হোসেন, কল্যাণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আমজাদ হোসেনসহ অন্যান্যরা।
মানববন্ধন শেষে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এসময় মানববন্ধন থেকে ৫ দফা দাবী উত্থাপন করা হয়। দাবীগুলো হচ্ছে-শিক্ষক ও তাঁর দুই শিশু সন্তান হত্যার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে, ঢাকা-এনায়েতপুর-বেলকুচিগামী বাসস্ট্যান্ড শহর থেকে মিরপুর এ স্থানান্তর করতে হবে। দিনের বেলা শহরে ট্রাক-লড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে। শহরের বিভিন্ন মোড় প্রশস্ত করতে হবে ও শহরের ভিতর দিয়ে আন্তঃজেলা বাস চলাচল সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিদিনই করুণ মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। শুধু সিরাজগঞ্জে নয় সারাদেশে নতুন কোন ঘটনা নয়। সাধারণ মানুষ, শিক্ষক এমনকি কোমলমতি শিশুরাও দেশব্যাপী এমন করুণ ও অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর শিকার হচ্ছেন আমরা এই করুন মৃত্যু ও চালকগণের বেপরোয়া মনোভাব থাকায় হত্যাকান্ড মনে করেন। একই পরিবারের পুত্র-কন্যাসহ শিক্ষিকা ইফরাত সুলতানা রুনীর সড়ক দূর্ঘটনায় অকাল মৃত্যু জন্য দায়ী বাস-ট্রাক চালকের দৃষ্টান্তমুলক শান্তির পাশাপাশি সিরাজগঞ্জের সাধারণ মানুষ, শিক্ষক, কোমলমতি শিশুদের নির্ভয়ে বিদ্যালয়ে গমন ও চলাচলের সুষ্ঠু পরিবেশ বান্ধব সড়কপথ নির্মাণের দাবী জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে স্কুলশিক্ষিকা রুনী তার ছেলে ও এক মেয়ে ব্যাটারি চালিত রিকশায় করে শহরে যাচ্ছিলেন। তারা পৌর এলাকার মিরপুর এসবি ফজলুল হক সড়কের কালাচাঁন মোড় এলাকায় পৌঁছালে কড্ডা থেকে সিরাজগঞ্জগামী যাত্রাবাহী একটি বাস সামনের একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে তাদের চাপা দেয়। এতে রিকশাটি ট্রাকের পেছনে দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই শিশুসহ রুনী ও তার ছেলে ওয়াদী মারা যান।
আহত হয় রিকশা চালক ও শিশু সয়ফা। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক শিশু ছয়ফাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বাসটিকে আটক করে পুলিশ।