পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ করতে হবে : পার্বত্য উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ৮ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ১০:৫২ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। এখানে যারা সাধারণ পাহাড়ি-বাঙালি আছে তাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। যারা সহিংসতা সৃষ্টি করছে তারা দুস্কৃতিকারী। তাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার দিঘীনালায় উপজেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে সাম্প্রতিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে "অর্থ সহায়তা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এবং সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সুপ্রদীপ চাকমা আরো বলেন, সরকারের কাছে অনেক অভিযোগ আছে এবং পাহাড়ে চাঁদাবাজি চলছে বলে জানা গেছে। যারা চাঁদাবাজির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নিবে।
উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম মূল ধারার রাজনীতির সাথে সাথে বেশ কিছু আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। সকল আঞ্চলিক সংগঠনকে গণতান্ত্রিক ধারায় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
এছাড়া তিনি বলেন, সাজেকে এসে টু্রিস্টরা আটকে যাচ্ছেন তা কারো কাম্য নয়। কারণ পর্যটকরা পার্বত্য এলাকার না। এধরণের সহিংসতা বন্ধ না হলে পার্বত্য এলাকায় আগত ট্যুরিস্টরা বিকল্প পথ চিন্তা করতে পারে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, পর্যটকরা যাতে পার্বত্য এলাকায় ভ্রমণ করতে পারেন এ বিষয়ে ঢাকায় ফিরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দীঘিনালা উপজেলায় সাম্প্রতিক অপ্রীতিকর ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৩৬টি পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে ৪০ কেজি হারে চাল ও নগদ ৬ লাখ ৬২ হাজার ৫শত টাকা বিতরণ করা হয়। এছাড়া পুড়ে যাওয়া প্রতি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা ও ভাংচুর করা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা হারে মোট ৩১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ধর্মজ্যোতি চাকমা, সাবেক চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা, উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো.শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
দিনকাল/এসএস