মানব বন্ধন করেছে স্থানীয় জনতা
ধুনটে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইজারা বহির্ভূত বালু উত্তোলনের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৩ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৯:৩৯ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর ইজারা বহির্ভূত এলাকা থেকে নীতিমালা লঙ্ঘন করে অভৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন বালু উত্তোলনের এই মহোৎসব চালিয়েছেন। বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী।
জানা গেছে, উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন গত ২৫ জুলাই জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে যমুনা নদীর চৌবেড় মৌজার বালু মহালটি ৫৭ লাখ টাকায় ৮ মাসের জন্য ইজারা বন্দোবস্ত নেন।
তিনি চৌবেড় মৌজা থেকে খননযন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলনের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী শহড়াবাড়ি, শিমুলবাড়ি, বানিয়াজান, বৈশাখী ও কৈয়াগাড়ি মৌজা থেকেও নীতিমালা লঙ্ঘন করে একইভাবে বালু উত্তোলন করছেন।
ফলে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে যমুনা চরের আবাদি জমি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, স্পার ও বিভিন্ন অবকাঠামো। ইজারা বহির্ভূত এলাকা থেকে নীতিমালা লঙ্ঘন করে অভৈধভাবে বালু উত্তোলনে ক্ষুব্ধ হয়েছেন যমুনা তীরের কয়েক গ্রামের লোকজন।
যমুনা তীরের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান বলেন, সরকারি বালু মহাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে চৌবেড় মৌজায়। কিন্তু যুবলীগ নেতা বেলাল হোসেন চৌবেড় মৌজায় বালু উত্তোলনের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী শহড়াবাড়ি, শিমুলবাড়ি, বানিয়াজান, বৈশাখী ও কৈয়াগাড়ি মৌজা থেকেও বালু উত্তোলন করছে। খননযন্ত্র দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে যমুনা নদীর চরাঞ্চলের আবাদি জমি, নদী তীরের এলাকা, বন্যায় নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও স্পার ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। কয়েকটি গ্রামের হাজার মানুষের স্বার্থে যমুনা নদী থেকে স্থায়ী ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এদিকে নদী থেকে স্থায়ীভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে গত ১০সেপ্টেম্বর গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালনসহ একটি অভিযোগ ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার কাছে দেওয়া হয়েছে। তবুও বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা বেলাল হোসেন বলেন, ইজারা বন্দোবস্ত নীতিমালা মেনেই বালু উত্তোলন করছি। এলাকার কতিপয় স্বার্থনেশ্বী ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মানববন্ধন করেছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান বলেন, এ বিষয়ে এলাকাবাসির লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দিনকাল/এসএস