বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪ | আপডেট: ১২:৫৩ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
দেশের কয়েকটি পত্রিকায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে '' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষিকাকে ক্লাস-পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ'' শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে আমার ব্যাপারে যে তথ্যগুলো দেয়া হয়েছে সেগুলো সঠিক নয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে আমাকে ক্লাস-পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়টি অসত্য। শিক্ষার্থীরা হয়ত না বুঝে আমার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছিলো যে আমি ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে ছিলাম। কিন্তু আমি আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলাম। শিক্ষার্থীদের আমি সহযোগিতাও করেছি। আমি কখনও কোন রাজনৈতিক মন্তব্য কিংবা বক্তব্য প্রদান করিনি। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে গুজব রটিয়ে তারা বিভাগে ক্লাস না করার দাবি জানায়। তাদের এই দাবির প্রেক্ষিতে আমি কয়েকটি ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেই। কেননা আমার অধিকাংশ কলিগ আমাদেরকে ছাড়া ক্লাসে যেতে চান নি। তারা ক্লাসে না গেলে বিভাগে অচলাবস্থা তৈরি হবে। সার্বিক দিক বিবেচনা করেই আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হই।
প্রতিবেদনে কেবল দু'জন শিক্ষার্থীর মন্তব্য নেয়া হয়েছে কিন্তু তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি। অথচ দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান ও আমার কোন বক্তব্যই নেয়া হয়নি।একপাক্ষিক নিউজ আমরা কেউই কামনা করিনা।
প্রতিবেদনে বিভাগীয় সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে যে, আমি আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রদের হুমকি দিয়েছি এবং তাদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। শুধু আন্দোলনের সময় কেন কখনই আমি কাউকে হুমকি দেইনি। এর প্রমাণ কেউ কখনই দিতে পারবেনা। আমি এ ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত। আমার কলিগ, শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে আমার ব্যাপারে সঠিক তথ্যটি জানা যাবে।
প্রতিবেদনে যে শিক্ষার্থীর মন্তব্য নেয়া হয়েছে তিনি বলেছেন যে, আমার কাছে যাদের টিউটোরিয়াল হতো তাদের সবাইকে নিয়ে আমি প্রতিবার রামকৃষ্ণ মিশনে যেতাম এবং ছবি তুলে সবাইকে পোস্ট করতে বলতাম। এই অভিযোগটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে মানুষ যাতে আমার প্রতি আস্থা হারায় সেজন্যই এমন অভিযোগ করা হয়েছে। আমি সব টিউটোরিয়াল গ্রুপকেই রামকৃষ্ণ মিশনে পাঠাতাম এটা অসত্য। আমাদের 'বাঙালীর দর্শন' ও 'ভারতীয় দর্শন' নামে দুটো কোর্স পড়ানো হয়। এখানে স্বামী বিবেকানন্দের দর্শনও রয়েছে। বিবেকানন্দের গুরু হলেন রামকৃষ্ণ। রামকৃষ্ণ সম্পর্কে জানতেই মূলত আমি কয়েকটা টিউটোরিয়াল গ্রুপকে রামকৃষ্ণ মিশনে পাঠিয়েছিলাম। এটা শুধুমাত্র একাডেমিক উদ্দেশ্যেই করা হয়েছিলো। সেখানে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। যে সকল শিক্ষার্থীদের আমি সেখানে পাঠিয়েছিলাম তাদের সাথে কথা বললেই বিষয়টা বোঝা যাবে।
অতএব সঠিক তথ্য প্রমাণের আলোকে প্রকৃত ঘটনা উল্লেখ না করে কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করা হলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই।
প্রতিবাদকারী
ড. রেবেকা সুলতানা
অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়