আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়, বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৪৭ পিএম, ১৮ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:৫৬ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। মাঘের শীতে কাঁপছে এই জনপদের মানুষ। উত্তরের হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশার দাপটে অনুভূত হচ্ছে হাড়কাঁপানো শীত। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
আজ বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল নয়টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। রাতভর ঝরতে থাকা ঘন কুয়াশা ছিল সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত। এরপর ধীরে ধীরে সূর্যের দেখা মেলে।
এর আগে গত ৫ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পঞ্চগড়ে টানা চার দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। ৯ জানুয়ারি তাপমাত্রা আরও কমে শুরু হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এর পর থেকে উত্তরের এই জনপদে কখনো মাঝারি আবার কখনো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত ৯ জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে পঞ্চগড়ে শুরু হয় উত্তরের হিমেল বাতাস। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে ঘন কুয়াশার দাপট। রাতভর টিপটিপ বৃষ্টির মতো ঝরা কুয়াশায় ভিজে যায় পিচঢালা পথ। আজ সকালে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কের যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে। মাঘের তীব্র শীতে খেটে খাওয়া মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।
আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার দেওয়ানহাট এলাকায় কথা হয় মফিল উদ্দিনের (৫৮) সঙ্গে। তিনি মাটি কাটার কাজ করেন। শীতের মধ্যে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে কি না জানতে চাইলে কফিল বলেন, ‘আইজকা সকালে কুয়াশার তানে (জন্য) কিছু দেখা যায় না। ঠান্ডায় হাত-পাওলা অবশ হয় যাচ্ছে। তারপরও কামোত আসিবা নাগিল। বেলা উঠিলে ভালে (ভালো) করে কাম করা যাবে।’
নজিফুল ইসলাম নামের আরেক শ্রমিক বলেন, ‘শীতোত খালি গরিবের কষ্ট বাপু। সকালে কামোত যামো আর এখুনই ঠান্ডা বেশি। কাম করে তো খাবায় নাগিবে, পেট তো আর ঠান্ডা বুঝে না।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ প্রথম আলোকে বলেন, তেঁতুলিয়ায় বর্তমানে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ আবারও তাপমাত্রা কমে গেছে। তবে সকাল সাড়ে নয়টার পর সূর্যের দেখা মিলেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে দিনের তাপমাত্রাও কিছুটা বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। এতে মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরবে। তবে আগামী তিন থেকে চার দিন একই রকম শীত অনুভূত হতে পারে বলে জানান তিনি।