কাজিপুরে সরিষার বাম্পার ফলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৪ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৪৭ এএম, ১৫ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
যমুনা নদী অববাহিকার কাজিপুরে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। ঘণ কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া আর কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা সরিষার অধিক উৎপাদনে সহায়ক ছিল বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রেজাউল করিম জানান, ৮৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ১ হাজার ১ শত ৩১ মেঃটন সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত আছে। উপজেলায় মোট ১৩ জন এসএমই কৃষক আছে যারা উন্নতমানের বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ করে। এবছর অতিবৃষ্টি ও কুয়াশার কারণে মাটি দীর্ঘসময় আদ্রর্তা ধরে রেখেছে, যা সরিষাসহ অন্যান্য ফসল অধিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে।
চরাঞ্চলের ভেটুয়া জগন্নাথপুরের কৃষক আব্দুল আজিজ জানান, উচ্চ ফলনশীল বারী-১৪ জাতের সরিষা চাষ করেছে ৫ বিঘা জমিতে। এবার বাম্পার ফলন হয়েছে, বিঘা প্রতি ২ মন অতিরিক্ত সরিষা ঘরে তোলার আশা।
সোনামুখী ইউনিয়নের রৌহাবাড়ি গ্ৰামের কৃষক মোজাম্মেল হক জানায় ৩ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা আবাদ করেছে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে।
চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের গোদাগাড়ী গাড়াবের গ্ৰামের আব্দুর রশিদ ৩ বিঘা জমিতে ২০ মন সরিষা পেয়েছে, যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
কৃষি উপ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান জানায়, প্রতি বিঘা জমিতে মাঘী সরিষা ৩-৪ মণ এবং বারি সরিষা ৫-৬ মণ পর্যন্ত উৎপাদন হয়। মাঘী সরিষা ৬৫-৭০ দিন এবং বারি সরিষার জাত ৮০-১০০দিনের মধ্যে ঘরে তোলা যায়। ১২ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা এলাকায় স্বল্প মেয়াদে উচ্চ ফলনশীল বারি-১৪, ১৭ ও ১৮ সহ স্থানীয় জাতের সরিষা বেশি আবাদ হয়। দাম ভালো পেলে আগামীতে কৃষকেরা সরিষা চাষে আরও বেশি আগ্রহী হবে। শুধু বীজ উৎপাদনের জন্য প্রচলিত ও উন্নত জাতের বেশ কিছু প্রদর্শনী প্লট করা হয়েছে।