বগুড়ায় হোমিও ল্যাবরেটরিতে মিললো ১৫শ’ লিটার অবৈধ্য মদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫১ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৫৭ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বিষাক্ত মদপানে ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বগুড়া শহরের নাটাইপাড়া এলাকায় করতোয়া হোমিও ল্যাবরেটরিতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অভিযানে ১ হাজার ৫০০ লিটারের বেশি রেকটিফাইড স্পিরিটসহ (মদ) সাত ড্রাম যৌন উত্তেজক ওষুধ তৈরির কাঁচামাল উদ্ধার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শহরের নাটাইপাড়া করতোয়া হোমিও ল্যাবরেটরিতে জেলা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে।
পুলিশ জানায়, ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকার একটি বাসায় গড়ে তোলা হয়েছিল অবৈধ মদের কারখানা। এই কারখানায় হোমিও ওষুধের আড়ালে অ্যালকোহলের সঙ্গে খাওয়ার অযোগ্য মিথানল মিশিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হচ্ছিল ভেজাল মদ।
কারখানা থেকে ১ হাজার ৫০০ লিটারের বেশি মদ জব্দ করা হয়। করতোয়া হোমিও হলের মালিক শহিদুল ইসলামকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন, করতোয়া হোমিও ল্যাবরেটরিতে এত বিপুল পরিমাণ স্পিরিট কীভাবে এলো, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বগুড়ার উপপরিচালক মো. মেহেদী হাসান বলেন, করতোয়া হোমিও হলের মালিক সাহেদুল ইসলামের নামে বছরে ২৯ লিটার রেক্টিফাইড স্পিরিট বরাদ্দ আছে।
এর আগে বুধবার সকালে বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি এলাকার পারুল হোমিও ল্যাবরেটরি ও পুনম ল্যাবরেটরি নামের দুটি হোমিও কারখানায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় আবাসিক বাসায় কারখানা স্থাপন করে অবৈধভাবে ভেজাল মদ তৈরির প্রমাণ মেলে।
অভিযানে পারুল হোমিও ল্যাবরেটরি থেকে তিন লিটারের ২০টি এবং পুনম হোমিও ল্যাবরেটরি থেকে ১৪টি কাচের বোতলভর্তি স্পিরিট জব্দ করা হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় শহরের গালাপট্টির মাহি হোমিও হল ও দ্য মুন হোমিও হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এক দোকান মালিকের দুই লাখ এবং আরেক দোকান মালিকের দেড় লাখ টাকা জরিমানা করে মুন হোমিও হলের গুদাম সিলগালা করা হয়।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) ফয়সাল মাহমুদ জানান, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। করতোয়া হোমিও হলের একটি গোপন গোডাউনে বিপুল পরিমাণ রেক্টিফাইড স্পিরিট মজুত আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার অভিযান চালানো হয়।