ময়মনসিংহে মিথ্যা মামলা করায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও তার শিক্ষিকা স্ত্রীর বিরুদ্ধে উল্টো মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৬ এএম, ৪ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫৯ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মিথ্যা মামলা করায় শিক্ষিকা স্ত্রীসহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য জহিরুল ইসলাম রতনের বিরুদ্ধে একই আইনের ১৭ ধারায় উল্টো মামলা দায়ের হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মামলার ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মাজেদুল হক আকন্দ শিবলু।
তিনি জানান, ময়মনসিংহের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। আসামীরা হলেন- গৌরীপুর উপজেলার উজান কাশিয়ার চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেজিয়া পারভীন(৩৯) ও তাঁর স্বামী জহিরুল ইসলাম রতন(৫০)।
আদালত সূত্র জানায়, মামলার পূর্বের বাদি রেজিয়া পারভীন বিদ্যুৎ বিল ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তাঁর প্রতিবেশী দেবর সোহেল রানাকে আসামী করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক টানা হেছড়া করিয়া স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন কামনা চরিতার্থ করার অপরাধ এনে গত বছরের ৮ মার্চ গৌরীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
কিন্তু মামলার র্দীঘ তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় গত বছরের ২৯ এপ্রিল চূড়ান্ত রির্পোট মিথ্যা দাখিল করে একই আইনের ১৭ ধারায় বাদির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই এমদাদুল হক বিজ্ঞ আদালতে প্রার্থনা করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিএনপি সরকারের আমলে ঠিকাদার জহিরুল ইসলাম রতন গৌরীপুর উপজেলা তরুন দলের সভাপতি ছিলেন। কিন্তু ক্ষমতার পালা বদলে তিনি ভোল্ট পাল্টে ক্ষমতাসীন আওয়ামীগের যোগদান করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য পদ ভাগিয়ে নিয়েছেন। আর এভাবেই সরকার দলের ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে নিজের স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী রেজিয়া পারভীনকে বাদি করে চাচাত ভাইয়ের বিরুদ্ধে এ মিথ্যা মামলা দায়ের করে নির্দোষ সোহেল রানাকে ১৭দিন জেল খাটান।
এবিষয়ে জানতে একাধিকবার তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও রেজিয়া পারভীনের বক্তব্য জানা যায়নি।