ছেলের মৃত্যুদণ্ড, বাবার যাবজ্জীবনের আদেশ দিলো আদালত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৫ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৪৭ পিএম, ১৫ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় মহেশকুড়া আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আমিনুল হক হত্যা মামলায় মানিক মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড এবং তার বাবা নূরুল করিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, অধ্যক্ষ আমিনুল হকের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মহিষজোড়া গ্রামে। তিনি হোসেনপুর উপজেলার জিনারী গ্রামের মহেশকুড়া আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে চাকরি করতেন।
২০০৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমিনুল হকের ছেলে রক্সি প্রাইভেট কারে বাড়ি ফেরার সময় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবক মানিক মিয়া রক্সিকে মারধর করে বাড়িতে নিয়ে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে রক্সির বাবা আমিনুল হক ঘটনাস্থলে গেলে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মানিক মিয়া ও তার বাবা নূরুল করীম তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে মানিক মিয়া ছুরি দিয়ে অধ্যক্ষ আমিনুল হকের বুকে আঘাত করে। গুরুতর আহত আমিনুল হককে প্রথমে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে গত ১৭ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ফজলুল হক বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে হোসেনপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে দুজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আদালত মানিক মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড ও তার বাবা নূরুল করিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। এর পাশাপাশি প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
আসামি মানিক মিয়া পলাতক থাকায় যেদিন তিনি গ্রেপ্তার হবেন অথবা আদালতে আত্মসমর্পন করবেন, সেদিন থেকে এ রায় কার্যকর হবে। আসামিদের বাড়ি হোসেনপুর উপজেলার জিনারী গ্রামে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি আবু সাঈদ ইমাম ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মঞ্জুরুল ইসলাম জুয়েল।