তজুমদ্দিনে সহকারী কমিশনার পদটি ২০ বছর শূণ্য, ভোগান্তিতে মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৩৩ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদটি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে শূন্য থাকায় ৫টি ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ মানুষ ভূমি সংক্রান্ত সেবা থেকে বঞ্চিত। নামজারি অর্পিত সম্পত্তির লিজ নবায়ণ জমা খারিজ খাস জমির ক্ষণাবেক্ষনের জন্য আবেদনের ফাইল স্তূপ হয়ে জমে আছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে তজুমদ্দিনকে উপজেলা ঘোষণা করা হয়। এরপর ১৯৯৯/২০০০ সালে সর্বশেষ আব্দুস সালাম নামে একজন দায়িত্ব পালন করলেও তজুমদ্দিনে পালন করতো অতিরিক্ত দায়িত্ব। পরে তিনি অন্যত্র বদলি জনিত কারণে অন্য স্থানে চলে গেলে সেই থেকে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদটি শূণ্য রয়েছে। তারপর থেকে এ অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গণ।
উপজেলা ভূমি অফিসে দীর্ঘদিন এসিল্যান্ড না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন জমির মালিকেরা। নাম জারি জমা খারিজের অভাবে জমি বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে আছে।
জমির মালিকরা নাম জারি জমা খারিজের আবেদন করেও দীর্ঘ সময় পর্যন্ত জমির নামজারি জমা খারিজ করতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়েছে। কবে নাগাদ জমির মালিকদের এসব কাজগুলি সহ জমাকৃত কাজ সহকারী কমিশনারের মাধ্যমে করতে পারবেন তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না ওই অফিসের কেউই।
ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এসিল্যান্ডের পদটি খালি থাকায় খাজনা, সেলামি, নামজারি, অর্পিত সম্পত্তির লিজ নবায়ণ, খাস জমির ক্ষণাবেক্ষণ, মালিকানা ফিরিয়ে দেয়া সহ নানা কাজে বিঘ্নিত হচ্ছে সহকারী কমিশনার (ভূমি) না থাকায়।
ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিকী বলেন, তজুমদ্দিন ছোট উপজেলা হিসেবে ডিমান্ড কম থাকায় নির্বাহি কর্মকর্তা ভূমি অফিসের কাজ গুলো সম্পন্ন করে থাকেন তাই সহকারী কমিশনার দেয়া হচ্ছে না। তবুও সরকারের সাথে আলাপ আলোচনা চলছে সহকারী কশিনারের বিষয়ে কি করা যায়।