কুমিল্লা দক্ষিনাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রীর গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের জমি-ঘর পেয়ে উপকার ভোগীরা সন্তুষ্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫২ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:২৩ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
‘‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’’ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা দক্ষিনাঞ্চলের লাকসাম, বরুড়া, লালমাই, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার পুনর্বাসনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর অর্থায়নে বেশক’টি সরকারি ঘর ও জমির দলিলসহ চাবি হাতে পেয়ে উপকার ভোগীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
জেলা দক্ষিনাঞ্চলের একাধিক সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের এ পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। এদিকে লালমাই, বরুড়া, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ থেকে এ ব্যাপারে কোন তথ্য না পেলেও গত সপ্তাহে কুমিল্লার দক্ষিনাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বানিজ্যিক নগরী লাকসাম উপজেলার মুদাফরগঞ্জ দক্ষিণ ইউপির কাকৈয়া গ্রামের ৭ ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীনে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত জমি-বাড়িগুলো উপকার ভোগীদের মাঝে আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেলা দক্ষিনাঞ্চলের উপজেলা প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানায়, দেশব্যাপী ওই প্রকল্পের অধীনে ভূমিহীনদের মাঝে সরকারি জমি- ঘরগুলো হস্তান্তর উপলক্ষে দক্ষিনাঞ্চলের উপজেলা গুলোতে এ নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। উপজেলাগুলোতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এ প্রকল্পের অধীনে লাকসাম পূর্ব ইউপির পৈশাগী আশ্রয়ন প্রকল্পে আরও ২৫টি সরকারি ঘর হস্তান্তর পক্রিয়াধীন রয়েছে। কুমিল্লা জেলায় ভূমিহীনদের পূনর্বাসনের জন্য ৩৩ কোটি টাকা ব্যায়ে প্রায় ১৯৫টি ঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরমধ্যে লাকসাম উপজেলায় প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৭টি ঘর নির্মাণ করে হস্তান্তরের করেছে। তবে প্রতিবন্ধী, স্বামী পরিত্যাক্তা, ভিক্ষুক ও ষাটোর্ধ প্রবীন নাগরিকরা অগ্রাধিকার পেয়েছে এ প্রকল্পে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানায়, বাংলাদেশ সরকারের স্থাণীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি পরক্ষনে মন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর লাকসাম ও মনোহরগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এরমধ্যে লাকসাম পৌর এলাকা ও গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের ভ’মিহীনদের পুনর্বাসন প্রকল্পটি অন্যতম। এই প্রকল্পের কারনে ভূমিহীনরা মাথা গুজার একটি ঠাই হয়েছে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, এ উপজেলায় সরকারি খাস জমিতে জমি নাই, বাড়ি নাই এমন পরিবারের জন্য তৈরী করা হয়েছে এ সব সরকারি বাড়ি। প্রতিটি বাড়িতে ২টি শয়ন কক্ষ, ১টি করে বারান্দা, রান্না ঘর, বাথরুম, পানির ব্যবস্থার পাশাপাশি বিদ্যুত সংযোগের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি বাড়িতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। দৃষ্টি নন্দন লাল-সবুজ রংয়ের এ ঘর গুলো এখন গৃহহীন মানুষগুলোর স্বপ্ন সারথী।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দেবেশ চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমরা এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে কোন প্রকার অনিয়ম কিংবা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেয়নি। সরকারের বরাদ্দকৃত বাজেট এ দারিদ্র পরিবারগুলোর উপকারে ব্যায় করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে আমি নিজে ওই প্রকল্পের সকল কাজ তদারক করি। কোথাও যেন কোন ধরনের অনিয়ম না হয় এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষনিক নজর ছিলো। ’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম সাইফুল আলম জানায়, কুমিল্লা জেলার সব ক’টি উপজেলার মাধ্যে লাকসামে সর্বপ্রথম গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্পের আশ্রায়ন প্রকল্প-০২ এর কাজ শেষ হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি ও সাবেক জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীরের নির্দেশে ওই প্রকল্পের কাজটি সম্পন্ন করে হতদরিদ্রের মাঝে হস্তান্তর করেছি।
এ ব্যাপারে জেলা দক্ষিনাঞ্চলের লাকসাম ছাড়া বাকী উপজেলাগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।