সরিষাবাড়ীতে বাঁশের সাঁকো দিয়ে সেতু পারাপার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫১ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৩২ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
প্রায় ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু পারাপার করতে হলে বাদাই গ্রামসহ ৭ গ্রামের মানুষকে যেতে হয় বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে। জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার নরপাড়া গ্রামে এ ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে এলাকাবাসী।
গ্রামের লৌহজং খালের ওপর ৪০ ফুট দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় লোকজনকে বাঁশের সাঁকো দিয়ে সেতুটি পারাপার করতে হচ্ছে বলে জানা যায়। ২০১৭ ইং সালে সেতু নির্মান করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় ৭টি গ্রামের মানুষকে জীবনের ঝুঁকির নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বয়স্ক, মহিলা, শিশুসহ ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতে দূর্ভোগ পোহাতে হয়। অসুস্থ্য ও গর্ভবতীদের হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়না বলে এলাকাবাসী জানান।
এ ছাড়াও গ্রামের কৃষিসহ বিভিন্ন উৎপাদিত পণ্য হাটবাজারে নিতেও পরিবহন সমস্যায় পড়তে হয়। সংযোগ সড়ক না থাকায় কৃষকের জমিতে উৎপাদিত ফসল নষ্ট হয়ে যায়।
পিংনা ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চল পিংনা ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগের কারনে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে নরপাড়া লৌহজং খালের ওপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৩০ লাখ ৯০ হাজার ২০ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
স্থানীয় বাশুরিয়া শামসুন্নাহার উচ্চবিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রশিদ বলেন, ‘বাঁশের সাঁকো দিয়ে সেতু পার হয়ে বাদাই গ্রাম থেকে আমার বিদ্যালয়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী পড়তে আসে। সেতুটির পশ্চিম পাশে প্রায় ৮০ ফুট সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি কোন উপকারে আসছে না। গ্রামের লোকজন ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য সংযোগ সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই সাঁকো পারাপার করতে হয়।
নরপাড়া গ্রামের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুল মালেক বলেন, চার বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক করা হয়নি। এ কারণে নিজেদের উদ্যোগে প্রতিবছর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে খাল পারাপারের ব্যবস্থা করছেন।
পিংনা ইউপির চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন বলেন, সংযোগ সড়ক করে দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে প্রতিবছর আবেদন করা হলেও কোনো কাজ হয়নি। সংযোগ সড়ক তৈরি করা হলেই সেতু দিয়ে যাতায়াতে মানুষের ভোগান্তি কমবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হুমায়ূন কবীর বলেন, সেতুর পশ্চিমে এ অর্থবছরেই সংযোগ সড়ক করে দেওয়া হবে। সড়ক তৈরি করে দেওয়া হলে সেতুতে মানুষের যাতায়াতে আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব উদ্দিন আহমদ বলেন, সেতুটি সচল করতে ও সড়ক তৈরি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।